বিপাকে Xiaomi Redmi, Oppo ও Vivo, তিন চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ

ভারতের স্মার্টফোন দুনিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয় তিনটি ব্র্যান্ড হল Oppo (ওপ্পো), Vivo (ভিভো), এবং Xiaomi (শাওমি)। নজরকাড়া...
techgup 3 Aug 2022 2:12 PM IST

ভারতের স্মার্টফোন দুনিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয় তিনটি ব্র্যান্ড হল Oppo (ওপ্পো), Vivo (ভিভো), এবং Xiaomi (শাওমি)। নজরকাড়া স্মার্টফোনের পাশাপাশি নিত্যনতুন একাধিক ইলেকট্রনিক গ্যাজেট লঞ্চ করে সংস্থা তিনটি প্রায় প্রতিদিনই টেক দুনিয়ার খবরের শিরোনামে থাকে। তবে এবার একটু অন্য বিষয়কে কেন্দ্র করে এই তিন চীনা কোম্পানির নাম সামনে এল। সম্প্রতি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে এই তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধে গুরুতর ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র। গত মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এই কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেছেন যে, চীনের এই তিনটি কোম্পানির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে; সেজন্য সরকার সংস্থা তিনটিকে কড়া নজরে রেখেছে এবং এই বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি এ ব্যাপারে Oppo, Vivo, এবং Xiaomi-কে নোটিসও পাঠানো হয়েছে।

Oppo-র বিরুদ্ধে ৪,৩৮৯ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ

ডিআরআই (ডিপার্টমেন্ট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স)-এর তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, প্রায় ৪,৩৮৯ কোটি টাকা আমদানি শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে ওপ্পো। বিষয়টির সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে সংস্থার অফিস ছাড়াও বেশ কিছু উচ্চপদস্থ কর্মীর বাড়িতেও হানা দেয় ডিআরআই-এর আধিকারিকরা৷ তল্লাশি এবং তদন্তে জানা গিয়েছে যে, কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বেশ কিছু প্রোডাক্টের আমদানি সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছে ওপ্পো, এবং এর ফলে ২,৯৮১ কোটি টাকা কর ছাড়ের সুবিধা নিয়েছে সংস্থাটি।

Xiaomi-র বিরুদ্ধেও রয়েছে গুরুতর অভিযোগ

আমদানি করা পণ্যের উপর কাস্টম ডিউটি পেমেন্টের ক্ষেত্রে সংস্থাটি ১,৪০৮ কোটি টাকা চুরি করেছে বলে জানিয়েছেন সীতারামন। তিনি বলেছেন যে, শাওমি ভারতে রেডমি (Redmi), পোকো (Poco), এবং এমআই (MI, যা এখন শাওমি) ব্র্যান্ডগুলির নামকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের যাবতীয় ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সম্পাদন করে। এই সমস্ত কোম্পানিগুলিকে একজোট করলে শাওমির প্রদেয় শুল্ক দাঁড়ায় প্রায় ৬৫৩ কোটি টাকা। কিন্তু সংস্থাটিকে তিনটি নোটিশ দেওয়ার পরেও তারা মাত্র ৪৬ লাখ টাকা জমা দিয়েছে।

Vivo-র বিরুদ্ধেও জোরদার তদন্ত চলছে

কর ফাঁকির অভিযোগে ভিভোকে ২,২১৭ কোটি টাকার ডিমান্ড নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে সংস্থাটি ৬০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। এছাড়াও, ভিভোর তৈরি আরও ১৮ টি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি। আর এই তদন্তের ফলাফল কী হয়, তা একমাত্র সময়ই বলতে পারবে।

Show Full Article
Next Story