ইলেকট্রিক গাড়িও এর সামনে তুচ্ছ, অবিশ্বাস্য ক্ষমতা এই ই-সাইকেলে, এক চার্জে চলে 510 কিমি
নির্ঝঞ্ঝাটে দীর্ঘ পথ চলা এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ার কারণে ইদানিং ভারত সহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ইলেকট্রিক সাইকেলের...নির্ঝঞ্ঝাটে দীর্ঘ পথ চলা এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ার কারণে ইদানিং ভারত সহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ইলেকট্রিক সাইকেলের জনপ্রিয়তা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। রাস্তায় ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে গেলে একটি সাধারণ বাইসাইকেলের মতো এগুলিও প্যাডেল ঠেলে চালানো যায়। চার্জের খরচ অতি নগণ্য। এই জাতীয় সাইকেলের রেঞ্জ খুবই সাধারণ হয়। কিন্তু এবারে আমেরিকার কলোরাডোর সংস্থা অপ্টবাইক (Optbike) এমন একটি চমকপ্রদ বৈদ্যুতিক মাউন্টেন বাইসাইকেল নিয়ে এলো, যা রেঞ্জের দিক থেকে নামী প্রতিষ্ঠানের একটি বড় বৈদ্যুতিক গাড়িকেও হার মানায়। R22 Everest নামক সেই ই-সাইকেলটি পুরোপুরি চার্জে একটানা ৫১০ কিমি ছুটতে সক্ষম। কেবল তাই নয়, একইসাথে মজা করে সংস্থার দাবি, এটি নিয়ে পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টেও চড়া সম্ভব!
মাউন্ট এভারেস্টের সাথে মিল রেখে সাইকেলটির নামকরণ করা হয়েছে। নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি একটি অফরোড মাউন্টেন ই-বাইক। দীর্ঘপথ যাতে নিশ্চিন্তে পাড়ি দেওয়া যায় সেজন্য মাউন্টেন বাইকটিতে একটি উচ্চ ক্ষমতার ৩,২৬ কিলোওয়াট আওয়ার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হয়েছে। ব্যাটারিটি আবার দুটি প্যাকে ডিজাইন করা, যাতে দু’দিক থেকেই খুলে চার্জে দেওয়া যায়।
শুধু ব্যাটারিরই ওজন ১৬ কেজি। ফলে সাইকেলটিও যে বেশ ভারী হবে, তা বলাই বাহুল্য। সংস্থার কথানুযায়ী R22 Everest-এ যে ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে, তা বর্তমানে অনেক পাওয়ারফুল ইলেকট্রিক স্কুটারে বা মোটরসাইকেলেও থাকে না। পাহাড়-পর্বতে চড়ার ক্ষেত্রে এটি ২২,০০০ ফুট খাড়া পথ অনায়াসে পাড়ি দিতে সক্ষম বলে জানিয়েছে সংস্থা।
আবার সমতল রাস্তায় চলার ক্ষেত্রে পেডাল অ্যাসিস্ট মোডে ২৫ কিমি/ঘন্টার গতিবেগে ৫১০ কিমি (৩০০ মাইল) রেঞ্জ পাওয়া যাবে। অর্থাৎ ৫১০ কিমি পথ চলতে এর প্রায় ২০ ঘন্টা সময় লাগবে। সাইকেলটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫৮ কিমি। প্যাডেল করার সময় পায়ের বিশ্রাম দিতে চাইলে ইলেকট্রিক মোটরবাইকের মতো হাফ টুইস্ট থ্রটেল উপলব্ধ এতে। ই-বাইকটির ১.৭ কিলোওয়াট মোটর ১৯০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম।
৪০% পর্যন্ত গ্রেড বা ঢালু এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় সাবলীলভাবে চড়তে সক্ষম। Optbike R22 Everest। দুর্গম পথের অত্যাচার সহ্য করতে এতে দেওয়া হয়েছে বলিষ্ঠ কার্বন ফাইবার ফ্রেম এবং সুইংআর্ম। ২০০ মিমি লং ট্রাভেল সাসপেনশন থাকায় রাস্তার ঝাঁকুনি টের পাওয়া যাবে না। ব্রেকিং সিস্টেমের জন্য দু’চাকায় রয়েছে ডিস্ক।
এছাড়া এতে রয়েছে ব্যাকলাইট-সহ।এলসিডি স্ক্রিন, যেখানে ব্যাটারির অবশিষ্ট চার্জ, ষগতিবেগ সহ নানা প্রয়োজনীয় তথ্য ভেসে উঠবে। সংস্থার কর্মীদের নিজের হাতে অতি যত্নে তৈরি R22 Everest-এর দাম ১৮,৯০০ ডলার রাখা হয়েছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। সীমিত সংখ্যায় বাজারে ছাড়া হবে। এটি সত্যিই ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে ইলেকট্রিক সাইকেলে চেপে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার স্বপ্ন থাকলে, এত দাম তুচ্ছ বলে মনে হবে!