আজ পর্যন্ত দশ লাখের বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি নথিভুক্ত হয়েছে, জানালেন নিতিন গডকড়ী

ভারতে ২০১৯ থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত মোট ১০,৬০,৭০৭টি বৈদ্যুতিক গাড়ি নিবন্ধিত হয়েছে৷ এবং বর্তমানে দেশে সক্রিয় পাবলিক চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা ১,৭৪২৷ এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক…

ভারতে ২০১৯ থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত মোট ১০,৬০,৭০৭টি বৈদ্যুতিক গাড়ি নিবন্ধিত হয়েছে৷ এবং বর্তমানে দেশে সক্রিয় পাবলিক চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা ১,৭৪২৷ এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)। বুধবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে লিখিত আকারে তিনি এই পরিসংখ্যানটি পেশ করেন। তিনি বলেন, ওয়েসাইড অ্যামেনিটিস (WSAs) এর অংশ হিসেবে বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশনগুলিতে পরিষেবা দেবে নির্মাণকারীরা।

এদিন গডকড়ী বলেন, “বাহন-এর তথ্য অনুযায়ী মার্চ ২০১৯ থেকে ২১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত দেশে মোট ১০,৬০,৭০৭টি বৈদ্যুতিক যানবাহন নথিভুক্ত হয়েছে। এবং ব্যুরো অফ এনার্জি এফিশিয়েন্সি (BEE)-র ডেটা অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১,৭৪২টি পাবলিক চার্জিং স্টেশন সচল রয়েছে।” তিনি জানান, ন্যাশনাল হাইওয়েস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (NHAI)-কে ইতিমধ্যেই এরকম ৩৯ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে।

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে গডকড়ী বলেন, ২১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত দেশে জাতীয় সড়কে মোট ৮১৬টি টোল প্লাজা চালু আছে। টোল প্লাজা বন্ধের প্রসঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা, “পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল হাইওয়ে ফি রুল, ২০০৮ অনুযায়ী ছাড় দেওয়া সময়সীমার পর কেন্দ্রীয় সরকার জনতার থেকে ৪০% কম রেটে ফি সংগ্রহ করতে পারে। যদি সেটি সরকারি অর্থায়ন প্রকল্প হয়, সে ক্ষেত্রে প্রকল্পের আসল সংগ্রহের পর ইউজার রেট ৪০% কমিয়ে আনা হয়।”

পরিবহণ মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি টোলপ্লাজা রয়েছে রাজস্থানে (১২২টি), পরবর্তী স্থানে আছে উত্তর প্রদেশ (৯০টি) এবং মধ্যপ্রদেশ (৭৭টি)। আরও এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গত তিন বছরে সেন্ট্রাল রোড এন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড (CRIF) এবং ইকোনমিক ইম্পর্টেন্স অ্যান্ড ইন্টারস্টেট কানেক্টিভিটি (EI&ISC)-র আওতাধীন প্রকল্পে যথাক্রমে ২০,২৬৮.৪৫ টাকা ও ১,১৮৯.৯৪ টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র।