স্পোর্টস বাইক কিনবেন? বাজেট কম হলে নিতে পারেন পুরনো KTM RC 390, জানুন এর ভাল-মন্দ

KTM বহু বছর ধরেই অন্যান্য নামী ব্র্যান্ডগুলির তুলনায় সাধ্যের মধ্যে পারফরম্যান্স প্রদানকারী মোটরসাইকেল তৈরি করে আসছে। বাজেটের মধ্যে মিড রেঞ্জের সুপারস্পোর্ট বাইক হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি…

KTM বহু বছর ধরেই অন্যান্য নামী ব্র্যান্ডগুলির তুলনায় সাধ্যের মধ্যে পারফরম্যান্স প্রদানকারী মোটরসাইকেল তৈরি করে আসছে। বাজেটের মধ্যে মিড রেঞ্জের সুপারস্পোর্ট বাইক হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে KTM RC 390। তবে সাম্প্রতিককালে BS-6 বাইকগুলির দাম পূর্বের তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই মুহূর্তে KTM RC 390-কে কম বাজেটের মোটরসাইকেল হিসেবে গণ্য করা মুশকিল। বর্তমানে সুপারস্পোর্টস বাইকটির এক্স শোরুম মূল্য প্রায় ৩.৭০ লাখ টাকা। তাই বাজেট কম হলে সেকেন্ড হ্যান্ড মডেল কেনাই যুক্তিযুক্ত।

যেহেতু KTM RC 390 বেশ কয়েক বছর ধরে এদেশের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তাই পুরনো গাড়ি কেনা বেচার দোকানে সহজেই মিলবে এটি। বাইকটির অবস্থা ও তৈরি করার বছরের উপর নির্ভর করে ১.৫ থেকে ২.৫ লক্ষের মধ্যে পেতে পারেন হাত ফেরতা মডেল। তবে কেনার আগে অবশ্যই এর ভালো ও মন্দ দিকগুলি জেনে নেওয়া উচিত।

KTM RC 390 ভালো দিক:

কেটিএম আরসি ৩৯০ বরাবরই কম ওজনের অধিক ক্ষমতা, ও গতিসমৃদ্ধ বাইক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাইকটির ওজন ১৪৯ কেজি হওয়াতে এর হ্যান্ডেলিং অত্যন্ত সহজ ও এটা চালিয়ে রাইডারের অভিজ্ঞতা এক অন্য মাত্রায় হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সর্বোপরি একে চলার শক্তি যোগায় ১৯৯.৬ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনটির উৎপাদিত সর্বোচ্চ ক্ষমতা ও টর্ক যথাক্রমে ৪৩ বিএইচপি ও ৩৭ এনএম। ফলে শক্তির অভাব নেই। আবার নতুন মডেলের ইঞ্জিন আরও রিফাইন্ড।

কেটিএম আরসি ৩৯০ স্মার্ট প্রযুক্তি ও আধুনিক বৈশিষ্ট্য সহযোগে উপলব্ধ। পাঁচ বছরের পুরনো মডেলেও রাইড-বাই-ওয়্যার প্রযুক্তি, স্লিপার ক্লাচ, অ্যাডজাস্টেবল লিভার ও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ নানা মর্ডান ফিচার্স বিদ্যমান। বাইকটি ট্র্যাকে চলার উপযুক্ত মডেল। ইঞ্জিনের সক্ষমতা ও সমস্ত বৈশিষ্ট্য বরাবরই আপনাকে আপনার ট্র্যাক রাইডিং স্কিলকে উন্নত করবে।

KTM RC 390 খারাপ দিক:

কেটিএম আরসি ৩৯০-এর হ্যান্ডেলিং খুব ভালো হলেও দীর্ঘক্ষন ক্রুজ করার ব্যাপারে যথার্থ মডেল এটি নয়। তার অন্যতম কারণ বাইকটিতে বসার ভঙ্গি স্পোর্টস বাইকের মতো বলে খানিকটা সামনের দিকে ঝুঁকে বসার প্রয়োজন হয়। সাসপেনশনও যথেষ্ট শক্ত। উপরন্তু এই বাইকটিতে পিলিয়নের বসার জায়গা কম বলে তা যথেষ্ট আরামদায়ক নয়। তাছাড়াও KTM RC 390 এর অন্যতম বড় সমস্যা এর ইঞ্জিন থেকে সহজেই খুব বেশি গরম হয়ে যায়।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন