Car Speed: পড়ুয়াদের সুরক্ষায় স্কুলের সামনে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ বেঁধে দিল এই রাজ্য

পথ দুর্ঘটনায় প্রতি বছর ভারতে অসংখ্য নাগরিক প্রাণ হারান এবং তার থেকেও বেশি মানুষ আহত হন। যা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। রাস্তায় পথ দুর্ঘটনার ভয়াবহ…

পথ দুর্ঘটনায় প্রতি বছর ভারতে অসংখ্য নাগরিক প্রাণ হারান এবং তার থেকেও বেশি মানুষ আহত হন। যা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। রাস্তায় পথ দুর্ঘটনার ভয়াবহ প্রভাব এড়াতে গাড়িতে ৬টি এয়ারব্যাগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রক। এছাড়াও সতর্কতার বিভিন্ন বার্তা দিতে শোনা যায়। যেমন টু-হুইলারে বেরোলে হেলমেট পরিধান, চার চাকার গাড়িতে সিট বেল্টের ব্যবহার ইত্যাদি। এবার রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে তথা স্কুল পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নতুন নির্দেশিকা জারি করল পাঞ্জাব সরকার। তাতে বলা হয়েছে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের সামনে গাড়ি ঘন্টা প্রতি ২৫ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে চালানো যাবে না।

উক্ত নির্দেশিকায়, আইনত ভাবে পাঞ্জাবের অধীনস্থ সমস্ত সড়ক যেমন স্টেট হাইওয়ে এবং মিউনিসিপ্যালিটি রোডেও সর্বোচ্চ গতিবেগের মান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, স্কুলপড়ুয়াদের সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রাজ্য সরকারের কাছে বিদ্যালয়গুলির সামনে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ কমানোর আর্জি জানিয়ে আসছিল।

পাঞ্জাবের অ্যাভয়েড অ্যাক্সিডেন্ট নামক এক এনজিওর সভাপতি হরপ্রীত সিং বলেন, “আমরা ক্রমাগত এই দাবি নিয়ে পাঞ্জাব সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছিলাম, যা শেষমেশ কার্যকর হয়েছে। এখন এই নিয়মটি যে মেনে চলা হবে, তা আমাদের সরকারি দপ্তরগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে। স্কুলের সংলগ্ন এলাকায় শিশুদের নিরাপত্তা ভীষন জরুরী” ।

যদিও নার্সারি বা প্রাইমারি এবং হাই-স্কুল সংলগ্ন রাস্তায় কতগুলি দুর্ঘটনা ঘটেছে, আলাদা করে তার কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত পাঞ্জাবের পরিবহণ দপ্তরের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে ২০১৯-এ রাজ্যের শিক্ষাকেন্দ্রের এলাকায় পথ দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যু হয়েছে ৯,৮১২ জনের এবং আহত হয়েছেন ৩০,১৮০ জন। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী মিউনিসিপ্যালিটির অনীনে থাকা রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়া হয়েছে।