QR Code স্ক্যান করে পেমেন্ট করলে সাবধান, ছোট্ট এই ভুলে খালি হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট
বর্তমান সময়ে QR বা কুইক রেসপন্স কোড স্ক্যানের ব্যবহার বেশ বেড়েছে; ট্র্যাকিং, পেমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার ইত্যাদি...বর্তমান সময়ে QR বা কুইক রেসপন্স কোড স্ক্যানের ব্যবহার বেশ বেড়েছে; ট্র্যাকিং, পেমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার ইত্যাদি নানা কাজে QR কোড স্ক্যান করে চলেছেন অধিকাংশ মানুষ। আর বিশেষত এই কোডের মাধ্যমে প্রচুর অনলাইন পেমেন্ট হতে থাকায়, এটিকে ঘিরে অনলাইন স্ক্যামও খুব দ্রুত বাড়ছে। তাই এখন সমস্ত সাধারণ মানুষকেই সবসময় সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে, কারণ এই মুহূর্তে যে কেলেঙ্কারি চলছে তার ফাঁদে পা দিয়ে QR কোড স্ক্যান করলেই সাথে সাথে আপনার টাকা স্ক্যামারদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। এই বিষয়ে অনেক সিকিউরিটি রিসার্চার কোম্পানি আগেই রিপোর্ট করেছে। তবে অস্বস্তির বিষয় এটাই যে, সম্প্রতি এক মহিলা OLX-এ প্রোডাক্ট বিক্রি করতে গিয়েই প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
শোনা গিয়েছে যে, ওই ভিক্টিম মহিলা একটি প্রোডাক্ট ওএলএক্স প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট দামে তালিকাভুক্ত করেন। এরপর এক ব্যক্তি, মহিলাটির সাথে যোগাযোগ করেন এবং তালিকাভুক্ত দামেই প্রোডাক্টটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) বিক্রেতা মহিলাকে একটি কিউআর কোড পাঠান এবং তিনি দাবি করেন যে, ফোনপে (PhonePe) বা গুগলপে (GPay)-এর মত কোনো অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপ দিয়ে কোডটি স্ক্যান করলেই তিনি (মানে মহিলা) পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। এই পরিস্থিতিতে ওই মহিলা, প্রতারকের কথামত কিউআর কোড স্ক্যান করে ইউপিআই পিন এন্টার করলেই ব্যস! মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে সঙ্গে সঙ্গে টাকা ট্রান্সফার হয়ে যায়।
QR কোড স্ক্যান করার সময় খেয়াল রাখুন এই দুটি বিষয়
সব শুনে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে, চোখ কান একটু খোলা না থাকলেই কী বিপদ হতে পারে। তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে কী করে এই ঝামেলা এড়াবেন? সেক্ষেত্রে বলি, স্ক্যামাররা পেট্রোল পাম্প বা দোকানের মত সর্বজনীন স্থানে থাকা কিউআর কোড পাল্টে অনেকসময়ই নিজস্ব নকল কিউআর কোড প্রতিস্থাপন করে। এক্ষেত্রে কেউ কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করলেই টাকা স্ক্যামারের অ্যাকাউন্টে যায়। তাই এক্ষেত্রে দোকান জাতীয় কোনো জায়গায় কাউকে পেমেন্ট করার সময় যখন কিউআর কোড স্ক্যান করবেন, তখন অবশ্যই আপনি দোকানদারের নাম যাচাই করে নেবেন।
এছাড়া অফলাইন/অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোনো কিউআর কোড স্ক্যান করার পরে যদি আপনাকে একটি অজানা ওয়েবসাইটে রিডাইরেক্ট হয় তবে সতর্ক থাকুন। আর যদি কেউ আপনাকে টাকা দেওয়ার জন্য কোড স্ক্যান বা ইউপিআই পিন এন্টার করতে বলে তাহলে অবশ্যই তা এড়িয়ে চলুন এবং বিষয়টি নিয়ে থানায় রিপোর্ট করুন।