টাটা গ্রুপের জন্য আইবিএম এর চাকরি প্রত্যাখ্যান, রতন টাটার জীবনের এই ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি জানেন?

টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা গতকাল রাতে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। হঠাৎ রক্তচাপ...
Suman Patra 10 Oct 2024 12:38 PM IST

টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা গতকাল রাতে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং আইসিইউতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন তিনি। এরপর রাত ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। স্বাভাবিকভাবেই রতন টাটার প্রয়াণে গোটাদেশ আজ শোকাহত। কারণ ভারতের সামগ্রিক উন্নয়নে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। আসুন তার সম্পর্কে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নেওয়া যাক।

১. রতন টাটা আইবিএমের লোভনীয় চাকরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ১৯৬২ সালে টাটা গোষ্ঠীর টেলকো সংস্থায় যোগ দেন। এরপর টাটা গোষ্ঠীর নানা সংস্থায় কাজ করেছেন তিনি। ১৯৯১ সালে তিনি টাটা গ্রুপের সিইও হন। অবসর গ্রহণের পরেও টাটা গ্রুপের নানা জনহিতকর কাজে জড়িত ছিলেন রতন টাটা।

২. রতন টাটা সমাজের কল্যাণের জন্য সারা জীবন কাজ করে গেছেন। তিনি সারাবছর ধরে কোটি কোটি টাকা দুঃস্থদের দান করেছেন। ফলে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের সাম্রাজ্য গড়ার পরেও তিনি বিলিয়নিয়ারদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।

৩. রতন টাটার বয়স যখন মাত্র ১০ বছর তখন তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয় এবং তাকে দত্তক নেন তার ঠাকুমা নওয়াজবাই টাটা। ১৯৫৫ সালে নিউ ইয়র্ক সিটির রিভারডেল কান্ট্রি স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার আগে তিনি মুম্বাই ও সিমলায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরে তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা করেন।

৪. রতন টাটা সারাজীবনে চারবার প্রেমে পড়লেও বিয়ে করেননি।

৫. রতন টাটা কুকুর খুব ভালোবাসতেন। তিনি প্রায়শই তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে রাস্তার কুকুরদের জন্য আশ্রয়স্থলের সন্ধান করতেন। পাশাপাশি মুম্বাইয়ের তাজ মহল হোটেলেও রাস্তার কুকুরদের থাকার জায়গা করে দিতেন।

৬. রতন টাটা ছিলেন একজন প্রশিক্ষিত পাইলট। ২০০৭ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে এফ -১৬ ফ্যালকন ফাইটার জেট চালান। একবার মাঝ আকাশে বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি তার সহপাঠীদের নিরাপদে অবতরণ করিয়ে জীবন বাঁচিয়েছিলেন।

Show Full Article
Next Story