চোখের পলক ফেলার আগেই ফুল চার্জ, 300W ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি আনছে Realme

অ্যাডভান্স ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি আনার ক্ষেত্রে Realme -কে টেক্কা দেওয়া ভার! সংস্থাটি ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ ২৪০ ওয়াট চার্জিং ক্যাপাসিটি সমর্থিত ফোন লঞ্চ করেছে। এখন আবার ৩০০…

অ্যাডভান্স ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি আনার ক্ষেত্রে Realme -কে টেক্কা দেওয়া ভার! সংস্থাটি ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ ২৪০ ওয়াট চার্জিং ক্যাপাসিটি সমর্থিত ফোন লঞ্চ করেছে। এখন আবার ৩০০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির উপর কাজ করছে। এই দাবি আমাদের নয়। বরং Realme -এর গ্লোবাল শাখার মার্কেটিং হেড ফ্রান্সিস ওং (Francis Wong) ইউটিউবার ‘দ্যটেকচ্যাপ’ (TheTechChap) -এর সাথে সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। যদিও আসন্ন এই ৩০০ ওয়াট সলিউশনের বিশেষত্ব, লঞ্চের সময় ইত্যাদি তথ্য কিন্তু এখনো জানা যায়নি।

রিয়েলমি বরাবরই অ্যাডভান্স চার্জিং প্রযুক্তি বিকাশে অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড সংস্থার থেকে এক কদম এগিয়ে থাকে। ২০২১ সালে সংস্থাটি Realme GT Master Edition ফোনের সাথে ৬৫ ওয়াট ডার্টচার্জ প্রযুক্তির ঘোষণা করেছিল। এই ফোনে ৪,৩০০ এমএএইচ ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে মাত্র ৩৩ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ হতে সক্ষম। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে Realme ৪,৫০০ এমএএইচ ব্যাটারির সাথে GT Neo 3 মডেল লঞ্চ করেছিল, যা ১৫০ ওয়াট চার্জিং সাপোর্ট করে। এই প্রযুক্তি ব্যাটারিকে মাত্র ৫ মিনিটে ৫০% পর্যন্ত চার্জ করতে পারে। আবার ২০২৩ সালে আত্মপ্রকাশ করে Realme GT Neo 5। এই ফ্ল্যাগশিপ মোবাইল ফোনে আরও বেশি অর্থাৎ ২৪০ ওয়াট চার্জিং প্রযুক্তির সুবিধা অফার করা হয়েছে, যা মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ডিভাইস ০-১০০% চার্জ করে।

আর এখন রিয়েলমি ৩০০ ওয়াট চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করার ঘোষণা করল। এক্ষেত্রে ডেমো ভিডিওতে আসন্ন এই চার্জিং প্রযুক্তির পারফরম্যান্সের একটা আভাস পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় ব্যবহৃত ফোনটি মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে ৫০% এবং পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ে ১০০% চার্জ হয়ে গেছে। অতএব পরীক্ষায় আসন্ন চার্জিং প্রযুক্তি বেশ ভালোই ফলাফল করেছে বলা চলে।

এদিকে সংস্থার পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে ৩০০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু শেয়ার করা হয়নি। এমনকি ফ্রান্সিস ওং সাক্ষাৎকারে এর নির্দিষ্ট চার্জিং টাইম বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে লঞ্চ হওয়া স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে কিনা তাও কিন্তু এখনো স্পষ্ট নয়।

ফাস্ট চার্জিং একদিকে যেমন সময় বাঁচিয়ে দেয়, তেমনি এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। উচ্চ চার্জিং গতির কারণে ফোন অতিরিক্ত গরম হতে পারে, যা সরাসরি ব্যাটারির স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ুকে প্রভাবিত করে। এক্ষেত্রে সংস্থাটির, এই ধরনের হাই-ওয়াটের চার্জিং সাপোর্ট করার জন্য ফোনে উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে কিনা এবং একই সাথে ভ্যাপার চেম্বার কুলিং সিস্টেম প্রযুক্তির কারণে তৈরী হওয়া হিট অপসারণে সক্ষম কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

এখন দেখার বিষয় Realme এই চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠে ৩০০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সমর্থিত ফোন কত দিনের মধ্যে বাজারে আনে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন