ফ্রিজ ঠান্ডা হচ্ছে না বলে চিন্তিত? মেকানিক ডাকার আগে খেয়াল করুন এই তিনটি বিষয়
এই গরমে একটু শীতলতার জন্য ফ্যান, এসি বা কুলার যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনই খাবার দাবার, সব্জি, ফলমূল ইত্যাদি সতেজ রাখতেও দরকার...এই গরমে একটু শীতলতার জন্য ফ্যান, এসি বা কুলার যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনই খাবার দাবার, সব্জি, ফলমূল ইত্যাদি সতেজ রাখতেও দরকার রেফ্রিজারেটর। কিন্তু অনেক সময় তাপ বাড়ার সাথে সাথে যেন ফ্রিজের ঠাণ্ডাও কমে যায়। আর এই অ্যাপ্লায়েন্স সারাই করতে বেশ খরচও হয়। সেক্ষেত্রে আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু পদ্ধতির কথা বলব যা ব্যবহার করে আপনি ফ্রিজের ভেতরের শীতলতা বাড়াতে পারেন। এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি কাজে না লাগে তবেই আপনি সাধের অ্যাপ্লায়েন্স সারাইয়ের জন্য কোনো মেকানিক ডাকবেন। আসুন তাহলে দেরি না করে দেখে নিই ফ্রিজের কোন বিষয়গুলির ওপর নজর রাখতে হবে।
১. কম্প্রেসার: ফ্রিজের কম্প্রেসার এর পেছনে থাকে। কিন্তু গ্রাহককে খেয়াল রাখতে হবে যে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার এর তাপকে কমিয়ে ফেলছে কিনা। যদি এমন না হয়, তাহলে কম্প্রেসারে বাতাস যাওয়ার জন্য কিছু ব্যবস্থা করতে হবে। বাইরে থেকে কুলিং সাপোর্ট পাওয়া গেলে কম্প্রেসার সঠিকভাবে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ঠাণ্ডা করতে সক্ষম হবে।
২. PCB (পিসিবি): সময়ের সাথে সাথে রেফ্রিজারেটরের রূপও পরিবর্তিত হতে থাকে। যেমন বাজারে এখন ইনভার্টার ফ্রিজ এসেছে। এই ফ্রিজগুলি খুব কম বিদ্যুৎ খরচ করে বটে, তবে এগুলি অটোমেটিক ইলেকট্রনিক ফ্রিজ। এর শীতলতা পিসিবি বা প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সেক্ষেত্রে এই পিসিবির ফ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায়। অতএব ফ্রিজ ঠাণ্ডা রাখার জন্য এই দিকেও খেয়াল রাখা উচিত।
৩. গ্যাস লিক: অনেক সময় গ্যাস লিক হলে কম্প্রেসার ফুল ব্যাকআপ দেয় না। যদি এমন হয়, তাহলে আপনার ফ্রিজ কাজ করবে কিন্তু একেবারেই ঠান্ডা হতে পারবে না। তাই আপনার রেফ্রিজারেটরেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে এর গ্যাস রিফিল করতে হবে। এটি না করলে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসারের ক্ষতিও হতে পারে।