কেদারনাথের পর এবার বর্ডার অঞ্চল: ভ্রমণপিপাসুদের সুবিধার্থে নিজের 4G পরিষেবা আরো প্রসারিত করল Jio
পাহাড়ি শোভা, বরফ, অপরূপ সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে ভারতের সেরার সেরা জায়গাটি হল লাদাখ। বরফের এই মরুভূমিতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ...পাহাড়ি শোভা, বরফ, অপরূপ সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে ভারতের সেরার সেরা জায়গাটি হল লাদাখ। বরফের এই মরুভূমিতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসেন ও লাদাখের অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করেন। কিন্তু এই স্বপ্নসুন্দর জায়গাটিতে ঘুরতে এলে বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে যায়, কেননা এই অঞ্চলে ফোনের নেটওয়ার্ক মেলে না। ফলে ভ্রমণের অনাবিল আনন্দ পেলেও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারায় প্রত্যেকের মনেই একটু খুঁত থেকে যায়। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে এবার পর্যটকদের এক দুর্দান্ত উপহার দিল দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানি Reliance Jio (রিলায়েন্স জিও)। কী সেই চমকপ্রদ উপহার? আসুন জেনে নিই।
আসলে ইউজারদের সুবিধার্থে এবার লাদাখের প্যাংগং লেকের কাছে একটি গ্রামে ৪জি (4G) পরিষেবা চালু করেছে জিও। এটি এমন একটি জায়গা যা দীর্ঘদিন ধরে চলা ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘাতের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। তবে জিওর কল্যাণে ভ্রমণকারীরা এবার এই দুর্গম এলাকায় প্রথমবারের মতো ৪জি পরিষেবার স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। এই নয়া সার্ভিসের দরুন এখন পর্যটকরা ভয়েস বা ভিডিও কলের মাধ্যমে অতি অনায়াসে তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন, যা এতদিন যাবৎ কার্যত অসম্ভব ছিল। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই পাহাড়ি এলাকায় ভারতীয় জওয়ানরাও কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু নেটওয়ার্ক না মেলায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত সমস্যার সৃষ্টি হত। তবে এখন জিওর সৌজন্যে সমস্ত মুশকিল আসান হয়ে গেল।
লাদাখের প্যাংগং লেকের কাছে যে গ্রামে রিলায়েন্স জিও তাদের ৪জি ভয়েস ও ডেটা পরিষেবা চালু করেছে, তার নাম স্প্যাংমিক (spangmik)। গ্রামটিতে জিওর একটি মোবাইল টাওয়ারের উদ্বোধন করেন লাদাখের লোকসভার সাংসদ জামইয়াং সেরিং নামগেয়াল (Jamyang Tsering Namgyal)। তিনি জানিয়েছেন যে, জিওর টাওয়ার স্থাপনের ফলে ওই গ্রাম এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ আরও জোরদার হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকাটিরও প্রভূত উন্নতিসাধন ঘটবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই বলে ভ্রমণকারীদের মনে চরম ক্ষোভ ছিল। সেক্ষেত্রে এখন এই দুর্দান্ত সুবিধা মেলায় পর্যটক সংখ্যা যে আরও বাড়বে, সেকথা নিঃসন্দেহে বলাই বাহুল্য। এবং এর সুবাদে ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিরও যে ব্যাপক উন্নতি হবে, সেকথা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে, কেবলমাত্র একটা টাওয়ার বসিয়েই থেমে থাকতে রাজি নয় Jio। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, আগামী দিনে লাদাখ এলাকায় তারা আরও বেশ কয়েকটি টাওয়ার স্থাপন করবে, যাতে ওই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়। এর পাশাপাশি তারা নিজেদের পরিষেবাকে দেশের সকল প্রত্যন্ত প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ারও সংকল্প নিয়েছে, এবং এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।