Top 5 Bikes: দীপাবলিতে জীবনের প্রথম বাইক কেনার স্বপ্নপূরণ করুন, আপনার জন্য সেরা 350cc মডেলের খোঁজ রইল
দীপাবলির দামামা বেজে গিয়েছে। রোশনাইয়ের উৎসবে অগণিত মানুষ বিভিন্ন পণ্য কেনার চূড়ান্ত পালা সেরে ফেলছে। কেনাকাটার...দীপাবলির দামামা বেজে গিয়েছে। রোশনাইয়ের উৎসবে অগণিত মানুষ বিভিন্ন পণ্য কেনার চূড়ান্ত পালা সেরে ফেলছে। কেনাকাটার তালিকায় যেমন বিভিন্ন অলঙ্কার রয়েছে, তেমনই আছে যানবাহন। বছরের এই সময়ে অনেকেই নতুন বাহন বাড়ি নিয়ে আসেন। এমনকি পথ চলার পুরনো সঙ্গীর বদল ঘটাতেও দেখা যায়। ইদানিং দেশে ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেলের প্রতি উড়তি প্রজন্মের লাগামহীন ভালোবাসা নজরে পড়ছে। তাই আপনি যদি দিওয়ালির আগে সংশ্লিষ্ট সেগমেন্টের বাইক কেনার কথা পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। শেষ পর্যন্ত চোখ রাখুন।
Royal Enfield Classic 350
গত বছর ভারতের বাজারে রয়্যাল এনফিল্ডের বেস্ট-সেলিং মোটরবাইক Classic 350 ৬টি ভ্যারিয়েন্টে হাজির হয়েছে। এর দাম ১.৯০ লক্ষ থেকে ২.২১ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। ডবল ডাউনটিউব চ্যাসিসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি বাইকটিতে রয়েছে একটি ৩৪৯ সিসি ইঞ্জিন। যা থেকে ২০.৩ বিএইচপি শক্তি এবং ২৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত ৫-স্পিড গিয়ারবক্স। উত্তরসূরী মডেলটির তুলনায় নতুনটির টর্ক বেশি এবং ভাইব্রেশন কম। ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ বাইকটির সামনে ৩০০ মিমি এবং পেছনে ২৭০ মিমি রটর আছে। আবার সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস ভ্যারিয়েন্টটি ড্রাম ব্রেকের সাথে উপলব্ধ।
Royal Enfield Hunter 350
আগস্টে ভারতের বাজারে পা রেখেছে Royal Enfield Hunter 350। দিওয়ালির সময় এই বাইকটি আপনার ৩৫০ সিসি মডেলের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। এটি মোট তিনটি ভ্যারিয়েন্টে বেছে নেওয়া যায় – রেট্রো, মেট্রো এবং মেট্রো রেবেল। এগুলির দাম যথাক্রমে ১.৪৯ লক্ষ টাকা, ১.৬৩ লক্ষ টাকা ও ১.৬৬ লক্ষ টাকা। এটি হল J প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি সংস্থার তৃতীয় মডেল। বাইকটিতে রয়েছে একটি ৩৪৯ সিসি এয়ার কুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা থেকে ২০.৩ বিএইচপি শক্তি এবং ২৭ এনএম টর্ক পাওয়া যায়।
Royal Enfield Meteor 350
৩৫০ সিসির ক্রুজার মডেল Royal Enfield Meteor 350 এদেশের তিনটি ট্রিমে বেছে নেওয়া যায় – ফায়ারবল, স্টিলার এবং সুপারনোভা। এদের মূল্য ২.০১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২.১৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই মডেলটিতেও রয়েছে একটি ৩৪৯ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ফুয়েল ইনজেক্টটেড ইঞ্জিন। যা থেকে ২০.২ বিএইচপি শক্তি এবং ২৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। ভাইব্রেশন কমাতে এতে একটি ব্যালেন্সার শ্যাফ্ট দেওয়া হয়েছে। বাইকটি ১৩০ মিমি ট্রাভেল আপফ্রন্ট সহ ৪১ মিমি টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং ৬-স্টেপ প্রিলোড অ্যাডজাস্টমেন্ট শক অ্যাবসর্বারে ছোটে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের মধ্যে রয়েছে একটি কালার টিএফটি ডিসপ্লে, একটি সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ট্রিপার নেভিগেশন এবং ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি।
Honda H’ness CB350
হোন্ডার H’ness CB350 বাইকটিও পারফরম্যান্সের দিক থেকে যথেষ্ট উন্নত। এটি ডিএলএক্স, ডিএলএক্স প্রো এবং অ্যানিভার্সারি এডিশনে বেছে নেওয়া যায়। এদের দাম যথাক্রমে ১.৯৮ লক্ষ টাকা, ২.০৩ লক্ষ টাকা ও ২.০৫ লক্ষ টাকা। শক্তি যোগাতে এতে রয়েছে একটি ৩৪৮ সিসি এয়ার কুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এটি থেকে ২০.৮ বিএইচপি শক্তি এবং ৩০ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত ৫-স্পিড গিয়ার বক্স। বাইকটির সামনে ৩১০ মিমি এবং পেছনে ২৪০ মিমি ডিস্ক ব্রেক বর্তমান। উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে হোন্ডা সিলেক্টেবল টর্ক কন্ট্রোল, হোন্ডা স্মার্টফোন ভয়েস কন্ট্রোল সিস্টেম, একটি অ্যাসিস্ট এবং স্লিপার ক্লাচ।
Jawa Perak
ভারতের বাজারে উপলব্ধ ববার বাইকের মধ্যে অন্যতম Jawa Perak। এর দাম ২.০৯ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। এতে উপস্থিত ৩৩৪ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড, DOHC ইঞ্জিন। যার আউটপুট ৩০ বিএইচপি এবং ৩১ এনএম টর্ক। Jawa 42-এর তুলনায় এতে ভিন্ন সাসপেনশন সেটআপ এবং সাবফ্রেম উপস্থিত। ব্রেকিংয়ের জন্য সামনে ও পেছনে ডিস্ক ব্রেকের সাথে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস প্রযুক্তি উপলব্ধ। ববার স্টাইলিং হওয়ার জন্য এর মাটি থেকে সিটের উচ্চতা কম। এতে রয়েছে একটি সিঙ্গেল পিস সিটর, বার এন্ড মিরর এবং স্টাবি এগজস্ট মাফলার।