বিদেশের মাটিতেও রাজ করছে Royal Enfield, এপ্রিল-জুনে বেস্ট পারফরম্যান্স এই সংস্থার
দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে আইকনিক বাইক নির্মাতা রয়্যাল এলফিল্ডের যাত্রা শুরু শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। আর এবার...দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে আইকনিক বাইক নির্মাতা রয়্যাল এলফিল্ডের যাত্রা শুরু শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। আর এবার প্রকাশ পেল আন্তর্জাতিক বাজারে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের বিক্রির পরিসংখ্যান। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট ২৮,৩৯০ টি মডেল ডেলিভারি দিয়ে কার্যত নজির তৈরি করেছে চেন্নাই কেন্দ্রিক এই সংস্থা। যা পূর্ববর্তী বছরের এই সময়ের নিরিখে ৬২ শতাংশ বেশি। এমনকি গত অর্থবর্ষের শেষ তিন মাসের থেকেও ৩০ শতাংশ এগিয়ে এবারের রেকর্ড।
আন্তর্জাতিক বাজারে ২৫০-৭৫০ সিসির মোটরসাইকেলের রমরমাকে হাতিয়ার করে আগামী পাঁচ বছরে নিজেদের জমি আরও শক্ত করে নিতে চাইছে রয়্যাল এনফিল্ড। এশিয়া প্যাসিফিক ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলিতে Completely Knocked Down (CKD) ব্যবস্থা অর্থাৎ একটি মডেলকে ছোট ছোট যন্ত্রাংশে রপ্তানি করে নির্দিষ্ট দেশে নিয়ে গিয়ে সেখানে সম্পূর্ণ রূপদান করতেই আগ্রহী রয়্যাল এনফিল্ড।
উপরন্তু, এই লক্ষ্যে আর্জেন্টিনা,কলম্বিয়া ও থাইল্যান্ডে তাদের নিজস্ব কারখানা তৈরি করেছে এই সংস্থা। এবং আর্জেন্টিনাতে ইতিমধ্যেই ৫ হাজারের বেশি মডেলে যন্ত্রাংশ লাগানোর কাজ সমাপ্ত হয়েছে। রয়্যাল এনফিল্ডের ডিরেক্টর ও মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মিস্টার গোবিন্দরজন বলেন,"আমাদের সংস্থার যথাসাধ্য প্রয়াস ও আন্তর্জাতিক বাজারে তার প্রতিফলন দেখে আমরা আপ্লুত। ভারত ও বিশ্বের আপামর বাইকপ্রেমীদের জন্য সম্প্রতি আমরা হান্টার ৩৫০ লঞ্চ করেছি"।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য প্রথমে ও তারপর এদেশে আত্মপ্রকাশ করে রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার। অদূর ভবিষ্যতে এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউরোপে লঞ্চ করা হবে এই বাইকটি। মিস্টার গোবিন্দরজনের এর কথায়," Scram 411 ও Hunter 350 এর মত মোটরসাইকেল লঞ্চ করে আমরা বাইক চালানোর অভিজ্ঞতাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। সামনের উৎসবমুখর দিনগুলিতে বাড়তি চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ও যোগান শৃঙ্খলের মত পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়ে আগামী মাসগুলিতে রয়্যাল এনফিল্ডের ব্যবসায় যথেষ্ট অগ্রসর করতে পারব বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী।"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রয়্যাল এনফিল্ড মিটিয়র ৩৫০ এ নতুন তিনটি কালার স্কিম প্রকাশ করেছে এই সংস্থা। মডেলটির ফায়ার বল ভ্যারিয়েন্ট ব্লু ও ম্যাট গ্রিন এবং সুপারনোভা ভ্যারিয়েন্ট লাল রঙে আগামীতে উপলব্ধ হবে। এর পাশাপাশি বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের ১৭৫০ টি শহরে রয়্যাল এনফিল্ডের ২১৩২টি আউটলেট, ১০৭৬ টি স্টোর ও ১০৫৬ টি স্টুডিও স্টোর ছড়িয়ে আছে।