Royal Enfield Scram 411: রয়্যাল এনফিল্ডের নতুন স্ক্র্যাম্বলার বাইকের ব্রোশার ফাঁস, সামনে এল বিস্তারিত তথ্য

যৌবনের প্রাবল্য অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেলের প্রতি নেশা জাগিয়ে তোলে। এই চিত্রটি যুব সম্প্রদায়ের কাছে কমবেশি একই। অ্যাডভেঞ্চার বাইকের সাথে ‘রাইডার’ হয়ে ওঠার স্বপ্ন রাতের ঘুম হরণ…

যৌবনের প্রাবল্য অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেলের প্রতি নেশা জাগিয়ে তোলে। এই চিত্রটি যুব সম্প্রদায়ের কাছে কমবেশি একই। অ্যাডভেঞ্চার বাইকের সাথে ‘রাইডার’ হয়ে ওঠার স্বপ্ন রাতের ঘুম হরণ করে। আর বাইকটি যদি হয় Royal Enfield Himalayan, তবে এক জীবনের আনন্দ যেন এক লহমায় হাজির হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকের কাছেই অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় বাইকটির দাম। যার আভাস পেতে বাকি নেই প্রস্তুতকারী সংস্থাটিরও। আর তাই কম দামে অ্যাডভেঞ্চার বাইকের খানিক স্বাদ দিতে Royal Enfield Himalayan-এর উত্তরসূরি হিসেবে স্ক্র্যাম্বলার মডেলের Royal Enfield Scram 411 নিয়ে আসতে চলেছে চেন্নাইয়ের সংস্থাটি। গত বছর থেকে দেশে বিভিন্ন সময়ে বাইকটির রোড টেস্টিংয়ের ভিডিয়ো ও স্থির চিত্র সামনে এসেছে৷ এবার নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল মোটরসাইকেলটির ব্রোশার৷

রয়্যাল এনফিল্ড স্ক্র্যাম ৪১১ (Royal Enfield Scram 411)-এর ব্রোশারটি ইউটিউবার বুলেট গুরু (Bullet Guru) চ্যানেল থেকে প্রকাশ পেয়েছে। বাইকটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের বাজারে আসতে চলেছে বলেই খবর। আসুন Royal Enfield Scram 411 ফিচার ও স্পেসিফিকেশনগুলির সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

রয়্যাল এনফিল্ড স্ক্র্যাম ৪১১ ফিচার্স (Royal Enfield Scram 411 Features)

রয়্যাল এনফিল্ড হিমালায়ান-এর সাথে বেশ কিছু পার্থক্য ও সাদৃশ্য, দুইই রয়েছে স্ক্র্যাম ৪১১-র। যেমন এর হেডল্যাম্প কাউলের জন্য ফ্রন্ট ভাইজার এবং ব্রেক ফেন্ডারটি আলাদা করা হয়েছে, এবং ফ্রন্ট সাবফ্রেমটি বাদ দেওয়া হয়েছে। হিমালয়ানের সাথে এর সিটটির মিল রয়েছে। চালকের বসার জায়গাটি ঢালু এবং যাত্রী বসার জায়গাটি সমান।

রয়্যাল এনফিল্ড স্ক্র্যাম ৪১১-র সামনে ও পেছনে রয়েছে যথাক্রমে ১৯ ও ২১ ইঞ্চি হুইল। এছাড়াও এতে দেখা মিলবে চওড়া টায়ার এবং অয়ার স্পোক। অন্যদিকে হিমালয়ানের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ২২০ মিমি হলেও, স্ক্র্যামের ক্ষেত্রে তা ২০০ মিমি। এতে দেওয়া হয়েছে একটি অফসেট, সিঙ্গেল-পড, সেমি ডিজিটাল কনসোল।

অন্যদিকে হিমালয়ানের ব্রেকিং সিস্টেমটি স্ক্র্যামেও দেওয়া হয়েছে। এর সামনে ও পেছনে রয়েছে ৩০০ মিমি ও ২৪০ মিমি ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ডিস্ক ব্রেক। এমনকি দুটি বাইকের ইঞ্জিন একই। যা ৪১১ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার/অয়েল কুল্ড ৫-স্পিড গিয়ারবক্স যুক্ত ইঞ্জিন। তবে স্ক্র্যাম্বলার বাইকটির ইঞ্জিনের আউটপুট সম্পর্কে তথ্য জানা যায়নি। হিমালয়ানের ইঞ্জিনটি থেকে ২৪.৩ পিএস শক্তি এবং ৩২ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। অন্যদিকে Royal Enfield Scram 411 বাজারে আসার পর Yezdi Scrambler ও Honda CB350RS মোটরসাইকেলের সাথে জোরদার টক্কর চলবে।