ঘন ঘন দেখা যাচ্ছে রাস্তায়, Royal Enfield Super Meteor 650 সময়ের আগেই লঞ্চ হতে পারে
বর্তমানে ভারতের অন্যতম ক্রুজার বাইক নির্মাতা রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) একাধিক টু-হুইলারের উপর পরীক্ষা চালাচ্ছে।...বর্তমানে ভারতের অন্যতম ক্রুজার বাইক নির্মাতা রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) একাধিক টু-হুইলারের উপর পরীক্ষা চালাচ্ছে। যার মধ্যে ৬৫০ সিসি মডেলের মধ্যে হিটলিস্টে আছে Royal Enfield Super Meteor 650। দীর্ঘদিন ধরেই ক্রুজার বাইকটি বাজারে আনার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে সংস্থা। এর আগে রাস্তায় একাধিকবার পরীক্ষা চালাতেও দেখা গেছে। বিগত ৩০ দিনের মধ্যে এই নিয়ে সম্ভবত তৃতীয়বার Super Meteor 650 এর দর্শন মিলল, তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্টাইলের অ্যালয় হুইলের সাথে। যা বাইকটির শোভা কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে।
আসলে ভারত এবং আন্তর্জাতিক বাজারে Interceptor 650 ও Continental GT 650-এর জনপ্রিয়তা দেখে ৬৫০ সিসি সেগমেন্টে সম্ভার বাড়াতে কোমর বেঁধেছে রয়্যাল এনফিল্ড। স্পাই ছবি দেখে মনে করা হচ্ছে, Super Meteor 650 ডবল ক্র্যাডেল চ্যাসিসের উপর ভিত্তি করে আসবে। চলতি বছরের শেষার্ধে বিশ্ববাজারে আত্মপ্রকাশ করতে পারে বাইকটি। আবার এর পিছু নিতে পারে SG650 কনসেপ্ট মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি রোডস্টার বাইক।
সংস্থার তরফে এখনও কোনো ঘোষণা না এলেও আশা করা হচ্ছে নভেম্বরে ইতালির মিলানে আসন্ন EICMA শো’তে Royal Enfield Super Meteor 650 ও SG650 উন্মোচিত হতে পারে। এদিকে ফাঁস হওয়া ছবিতে Meteor 650-র অন্য স্টাইলের অ্যালয় হুইলের সাথে টিয়ার ড্রপ আকৃতির ফুয়েল ট্যাঙ্ক ও প্যানিয়ারটি সম্পূর্ণ ফেব্রিক মেটেরিয়াল দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় দেখা গিয়েছে। প্যানিয়ারটি অপশনাল অ্যাক্সেসরিজের মধ্যে রাখা হতে পারে।
Royal Enfield Super Meteor 650-এর হাইলাইট বলতে একটি স্প্লিট সিট সেটআপ, ব্ল্যাক প্যানেলে আবৃত এলইডি হেডল্যাম্প, আরামদায়ক ফুটপেগ পজিশন, আপরাইট হ্যান্ডেলবার ইত্যাদি। রয়্যাল এনফিল্ডের প্রথম এই মোটরসাইকেলটি আপসাইড ফ্রন্ট ফর্ক পেতে চলেছে। এছাড়া সিলভার কেসিং এবং গোল টার্ন ইন্ডিকেটর ও ফ্রন্ট ফেন্ডার সহ গোলাকৃতি এলইডি টেলল্যাম্প থাকছে এতে।
ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ উভয় চাকাতেই থাকছে ডিস্ক ব্রেক। পারফরম্যান্সের জন্য Super Meteor 650-এ থাকছে একটি ৬৪৮ সিসি প্যারালাল টুইন সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ৪৭ পিএস এবং ৫২ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ইঞ্জিনের সাথে থাকছে স্লিপার এবং অ্যাসিস্ট ক্লাচ সহ একটি ৬-স্পিড ট্রান্সমিশন।