ফের Samsung (স্যামসাং)-এর ঝুলিতে গেল সমগ্র বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন বিক্রেতার খেতাব! হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী বার্ষিক স্মার্টফোন শিপিংয়ের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে। এদিকে ২০১৭ সালের পর গত বছর মার্কেটে প্রথমবারের মতো বৃদ্ধি দেখা গেছে বলে এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এক্ষেত্রে মোট ১.৩৯ বিলিয়ন ইউনিট স্মার্টফোনের চালান হয়েছে। যদিও গোটা বছরের মধ্যে চতুর্থ প্রান্তিকে শিপমেন্ট বার্ষিক (YOY) ভিত্তিতে ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩৭১ মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, Samsung স্মার্টফোন শিপিংয়ে সেরা হলেও, Apple (অ্যাপল)-ও রেকর্ড পরিমাণ শিপমেন্ট করেছে। আবার ২০২০ সালের তুলনায় গতবছর চীনা কোম্পানি Xiaomi (শাওমি)-র শিপিং ইউনিটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কাউন্টারপয়েন্টের মতে, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বাজারের হাল ফেরার পেছনে উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ভারতের মতো অঞ্চলের চাহিদা বৃদ্ধি মূল কারণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূলত সংস্থার প্রথম ৫জি-সক্ষম iPhone 12 সিরিজের চাহিদা অ্যাপল কে ভালো ফল করতে সাহায্য করেছে বলে জানা গেছে।
তবে চলমান কিছু সমস্যার কারণে চীনে (যা কিনা বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজার) তেমন সংখ্যক স্মার্টফোন বিক্রি হয়নি বলে এই বিষয়ে কাউন্টারপয়েন্টের সিনিয়র বিশ্লেষক হরমিত সিং ওয়ালিয়া জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি বলেছেন যে, গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উপাদানের ঘাটতি বাজারের বেশিরভাগ অংশকে প্রভাবিত করেছে, নতুবা ফলাফল আরো ভাল হতে পারত।
ব্র্যান্ড ভিত্তিক শিপমেন্টের কথা বললে, স্যামসাং ২০২১-এ ৬% বেশি, মোট ২৭১ মিলিয়ন স্মার্টফোন পাঠিয়েছে। সেক্ষেত্রে সংস্থাকে প্রবৃদ্ধি এনে দিয়েছে মিড রেঞ্জার ‘A’ এবং ‘M’ সিরিজের স্মার্টফোনগুলি। অন্যদিকে এই বছরে অ্যাপলের iPhone 12 সিরিজ ২৩৭.৯ মিলিয়ন ইউনিট শিপিং করে রেকর্ড গড়েছে। তবে শাওমির গ্লোবাল স্মার্টফোন শিপমেন্ট তুলনায় বেশ বেড়েছে, গত বছর তাদের শিপমেন্ট রেকর্ড ১৯০ মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ওপ্পো (Oppo) এবং ভিভো (Vivo) যথাক্রমে ১৪৩.২ মিলিয়ন ইউনিট এবং ১৩১.৩ মিলিয়ন ইউনিট মিলিয়ন ইউনিট শিপিং করেছে বলে জানা গিয়েছে।
লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে
যুক্ত হোন
