ভিয়েতনাম থেকে ভারতে স্মার্টফোন প্রোডাকশন সরিয়ে আনছে Samsung

ভারতের নয়ডায় Samsung (স্যামসাং) নিজের ফ্যাক্টরি চালু করার পর কেটে গেছে প্রায় তিন বছর সময়; এখন এই ফ্যাক্টরিটি বিশ্বের বৃহত্তম ফোন কারখানায় পরিণত হয়েছে। আর…

ভারতের নয়ডায় Samsung (স্যামসাং) নিজের ফ্যাক্টরি চালু করার পর কেটে গেছে প্রায় তিন বছর সময়; এখন এই ফ্যাক্টরিটি বিশ্বের বৃহত্তম ফোন কারখানায় পরিণত হয়েছে। আর এই অল্প সময়ে জায়গাটি থেকে এত সাফল্য পাওয়ার পর, এবার টেক জায়ান্টটি তার ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট চীন থেকে নয়ডায় স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি সংস্থাটি নিজের সমগ্র (পড়ুন বিশ্বব্যাপী) স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারিং অবকাঠামো পুনর্গঠন করার পরিকল্পনায় ভারতকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। Samsung-এর এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দেয় যে, সংস্থাটি এদেশের বাজারের ওপর আগের চেয়েও বেশি ফোকাস করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, Samsung, পরের বছর ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ায় তার কিছু স্মার্টফোন প্রোডাকশন স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছে।

বলে রাখি, এখনো পর্যন্ত ভিয়েতনামের ব্যাক নিন প্রদেশ (SEV) এবং থাই নগুয়েন প্রদেশে (SEVT) Samsung-এর দুটি স্মার্টফোন কারখানা রয়েছে এবং এই দুটি কারখানা মিলিতভাবে বছরে ১৮২ মিলিয়ন ইউনিট স্মার্টফোন (সংস্থার মোট উৎপাদিত স্মার্টফোনের ৬১%) তৈরি করে। সেক্ষেত্রে নয়ডায় প্রোডাকশন শিফ্ট করলে তা এদেশে মানুষের জন্য নয়া নজির গড়ে তুলবে বলে আশা করা যায়।

Samsung-এর লক্ষ্য প্রোডাকশন ক্যাপাসিটিতে পরিবর্তন আনা

রিপোর্ট বলছে, সংস্থাটি দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের সাতটি প্রোডাকশন সাইটের ক্যাপাসিটিতে বদল আনার পরিকল্পনা করছে। মূলত সংস্থাটি, ভিয়েতনামে শ্রম ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এবং কোভিড সমস্যার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে কোরিয়ান মিডিয়ার দাবি। সেক্ষেত্রে এই পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবেই, স্যামসাং, তার ১৮২ মিলিয়নের মধ্যে ১৯ মিলিয়ন ইউনিট প্রোডাকশন প্রসেস ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ায় ট্রান্সফার করে নিজের ক্ষমতা প্রসারিত করতে চাইছে৷ যদিও উক্ত দুটি দেশে প্রোডাকশন স্থানান্তরিত হওয়ার পরেও, ভিয়েতনাম সংস্থার ৫০% স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচার করবে বলে রিপোর্টে দাবি।

অন্যদিকে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের মধ্যে সংস্থাটি ভারতে প্রতি বছর ৯৩ মিলিয়ন স্মার্টফোন ইউনিট প্রোডাকশন করার ক্ষমতা অর্জন করার চেষ্টা করবে বলে জানা গেছে; বর্তমানে তারা প্রতি বছর ৬০ মিলিয়ন ইউনিট উৎপাদন করে। এছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার কারখানার ক্যাপাসিটি (বর্তমানে ৪%) প্রায় দ্বিগুণ করে স্যামসাং আগামী দিনে ১৮ মিলিয়নে অর্থাৎ ৬ শতাংশে প্রোডাকশন উন্নীত করবে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন