যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় সিগন্যাল থাকে Satellite Phone-এ? কারা এটি ব্যবহার করতে পারেন?
মোবাইল ফোন ছাড়া এখন এক মুহূর্তও চলা ভার, কিন্তু যদি এই মুঠোফোনে নেটওয়ার্কই না থাকে তাহলে এর বেশিরভাগ কার্যকারিতা অক্ষম...মোবাইল ফোন ছাড়া এখন এক মুহূর্তও চলা ভার, কিন্তু যদি এই মুঠোফোনে নেটওয়ার্কই না থাকে তাহলে এর বেশিরভাগ কার্যকারিতা অক্ষম হয়ে পড়ে। তাই মানুষ যাতে সহজে মোবাইল ফোন পরিষেবা ব্যবহার করতে পারে, তার বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় টাওয়ার স্থাপন করা হয়। ফলে হ্যান্ডসেটে সহজে সিগন্যাল আসে। এক্ষেত্রে মোবাইল টাওয়ার নেই সেখানে সিগন্যাল পেতে অনেক সমস্যা হয়। তবে জানেন কি স্যাটেলাইট ফোনে (Satellite Phone) এমন কোনো সমস্যা হয়না?
হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। স্যাটেলাইট ফোন হল এক ধরণের বিশেষ ফোন যাতে সিগন্যাল সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া যায়। তাই এতে সিগন্যাল হারানোর কোনো প্রশ্নই আসে না। এছাড়া উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল যে এই ফোন আপনি দেশের যেকোনো প্রান্তে ব্যবহার করতে পারবেন এবং শুধু তাই নয় এটি বিমান ভ্রমণের পাশাপাশি জাহাজেও ব্যবহার করা যাবে।
কারা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন?
এতদূর পর্যন্ত পড়ে যদি আপনার মনে প্রশ্ন জাগে যে আপনিও এই ফোন ব্যবহার করতে পারবেন কি না, তাহলে উত্তর হবে 'না'! বলে রাখি, ভারতে সাধারণ মানুষের জন্য স্যাটেলাইট ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ। এখানে শুধুমাত্র নির্বাচিত ব্যক্তিদের স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা, সেনা, বিএসএফসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিষেবার ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট ফোনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তবে কিছু কর্পোরেটেরও এটি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে।
স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহারের খরচ
যদি আমরা খরচ সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে একটি স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করার খরচ সাধারণ স্মার্টফোনের খরচের চেয়ে অনেক অনেক বেশি (বলা ভালো কল্পনাতীত)। এক্ষেত্রে আপনি যদি স্যাটেলাইট ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলেন, তবে এর জন্য আপনাকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে হতে পারে। সেজন্যই শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবায় কর্মরত ব্যক্তিদের স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।