Shiba Inu: ক্রিপ্টো’র বাজারে লক্ষণীয় উন্নতি শিবা ইনু-র, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কি বলছে বিশেষজ্ঞরা?

Shiba Inu Cryptocurrency: ‘শিবা ইনু’ নামের এক নয়া ক্রিপ্টো -কয়েন সম্প্রতি $৪০ বিলিয়ন ট্রেড মূল্যের গন্ডি ছুঁয়ে জায়গা করে নিয়েছে বর্তমানে বাজার মূল্য দখল করে…

Shiba Inu Cryptocurrency: ‘শিবা ইনু’ নামের এক নয়া ক্রিপ্টো -কয়েন সম্প্রতি $৪০ বিলিয়ন ট্রেড মূল্যের গন্ডি ছুঁয়ে জায়গা করে নিয়েছে বর্তমানে বাজার মূল্য দখল করে রাখা প্রথম ১০ ক্রিপ্টোর সারিতে ( m- ক্যাপ এর হিসবে)। মূলত মজার ছলে তৈরি করা, জাপানি কুকুরের এক প্রজাতির নামাঙ্কিত এই ডিজিটাল মুদ্রাটি বর্তমানে মুদ্রাধারকদের এক বিশাল গোষ্ঠী দ্বারা সমর্থিত। বছরশুরুতেই স্বনামধন্য উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মদতপুষ্ট ‘Dogcoin’ নামে আর এক ডগি-কমেডি ভিত্তিক ডিজিটাল মুদ্রার মূলস্রোতের বাজারে লক্ষণীয় উন্নতি ‘শিবা ইনুর’ উত্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল।

অনির্দিষ্ট ও অস্থিতিশীল ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে ‘শিবা ইনু’ একেবারেই এক নতুন সংযোজন। ২০২০ সালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি (মতান্তরে ‘রোয়সি’ নামে গোষ্ঠী সংগঠন) ডোজকয়েন এর বিকল্প হিসেবে তৈরি করেন এই ‘Dogcoin killer’ ‘শিবা ইনু’ কে। কয়েক মাস আগে মাস্কের করা একটি ধাঁধালো টুইটের পর থেকেই রাতারাতি জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করতে থাকে এই ডিজিটাল মুদ্রা। টুইটটিতে টেসলার কর্ণধার জানান, বিনিয়োগ ক্ষেত্রে তাঁর পোষকতা এবার থেকে ডোজকয়েন- এর পরিবর্তে ‘শিবা ইনু’র দিকে বর্তাবে। এছাড়া চীনা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও লাগাতার প্রচারেও এই টোকেনের বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে গোষ্ঠী টি ‘Shiboshis’ নামে NFT (নন ফাঞ্জিবল টোকেন) সিরিজ চালুর কথাও ভাবছে।

গত অক্টোবরে, মুদ্রাটির ট্রেড মূল্য ১০ গুণে বৃদ্ধি পায়, যা ছিল তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি ডজকয়েন-এর বাজার মূলধন অপেক্ষা বেশী। অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ‘শিবা ইনু’র মূল্য গত ২৪ ঘন্টায় ৪৫ শতাংশের বেশী বৃদ্ধির সম্মুখীন হয়। সোমবার পর্যন্ত টোকেনটির ট্রেডিং হয়ছে ০.০০৪১৬০ ডলারে।

বিনিয়োগ ক্ষেত্রে নতুন ক্রিপ্টো উৎসাহীরা বর্তমানে‌ ‘শিবা ইনু’ মুদ্রার প্রচারে মজেছেন। মাস্কের প্রিয় পোষ্যর তুমূল ইন্টারনেট জনপ্রিয়তা তাকেও এর মূল্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একজন প্রধান মহীরুহে পরিণত করেছে। তবে, Dogcoin এর বিকল্প কৌতুকমুদ্রার নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো বড় কারণ ছাড়া ক্রিপ্টো টোকেনে বিনিয়োগ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।