বহু প্রত্যাশিত ইলেকট্রিক স্কুটারের ডেলিভারি পিছিয়ে দিল Simple Energy
গত বছর স্বাধীনতা দিবসের দিন ভারতবাসী একসাথে দু'টি স্টার্টআপ সংস্থার বৈদ্যুতিক স্কুটারের লঞ্চ দেখেছিল। যার মধ্যে একটি ওলা...গত বছর স্বাধীনতা দিবসের দিন ভারতবাসী একসাথে দু'টি স্টার্টআপ সংস্থার বৈদ্যুতিক স্কুটারের লঞ্চ দেখেছিল। যার মধ্যে একটি ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric)-এর S1 ও S1 Pro এবং অপরটি সিম্পল এনার্জি (Simple Energy)-র ই-স্কুটার One। এদিকে গত বছর ডিসেম্বর থেকে স্কুটার ডেলিভারি দেওয়া শুরু করেছে ওলা। এখনও পর্যন্ত এদের তিনবার ক্রয়ের উইন্ডোও খোলা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সিম্পল এনার্জি এখনও কচ্ছপ ও খরগোশের দৌড়ের কথা মনে করাচ্ছে।
এ বছরের মার্চে সিম্পল এনার্জি জানিয়েছিল মে থেকে তাদের স্কুটারের টেস্ট ড্রাইভ এবং জুন থেকে সেগুলি গ্রাহকদের ডেলিভারি দেওয়া চালু হবে। কিন্তু জুনে পা রাখার আজে ডেলিভারি পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করল সংস্থাটি। কারণস্বরূপ বলা হয়েছে, ক্রমাগত ব্যাটারি চালিত স্কুটারে আগুন লাগতে দেখে সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতিতে বদল আনাতে পারে। এই একই কথা টুইটারেও জানিয়েছে সিম্পল। যে কারণে তাদের ফ্ল্যাগশিপ স্কুটার সিম্পল ওয়ান (Simple One)-এর ডেলিভারির জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছে সংস্থাটি।
পিটিআই সূত্রে খবর, সিম্পল এনার্জির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও সুহাস রাজকুমারের বিশ্বাস বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি এবং পরীক্ষার মান সম্পর্কিত কিছু বিধি কয়েক মাসের মধ্যেই সরকার নির্ধারণ করতে পারে। তাঁর বক্তব্য, “সম্প্রতি একাধিক ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন ধরে যাওয়ার জন্য সরকার চিন্তিত। সে কারণে আমরা সুপরিকল্পিতভাবে সিম্পল ওয়ানের ডেলিভারি সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বিরত রাখছি।”
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ৫৫,০০০-এর বেশি বুকিং পেয়েছে সিম্পল ওয়ান। এদিকে এ বছরের মার্চ মাস থেকে এখনো পর্যন্ত এদেশে ডজন খানেকের বেশি বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন ধরে যাওয়া ও ব্যাটারির বিস্ফোরণ ঘটেছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র সেন্টার ফর ফায়ার এক্সপ্লোসিভ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সেফটি (CFEES)-কে তদন্তের ভার দিয়েছিল। তাদের রিপোর্টে স্কুটারের ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং নিম্নমানের উপাদানের ব্যবহারকে দায়ী করা হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর সিম্পল এনার্জি স্কুটার ও গ্রাহকের নিরাপত্তায় জোর দিতে বেশি উৎসাহী। সরকারের তরফে নতুন কোনো ঘোষণা আসে কিনা সেই জন্য অপেক্ষা করতেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজকুমারের বক্তব্য, “সরকারের নতুন নিয়ম চালু হলে যারা ইতিমধ্যেই ই-স্কুটার বাজারে এনেছে, তাদের সেটি ফিরিয়ে নিতে হবে।” তাই নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পর বুঝেসুঝেই পথ চলা শুরু করা হবে।