Optimized Charging: আপনার ফোনে এই ফিচার থাকলে ব্যাটারির কোনো সমস্যা হবে না, দীর্ঘ সময় চলবে Smartphone
বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন ছাড়া একটা মুহূর্তও চলা একপ্রকার অসম্ভব বললেই চলে। তাই এখন আমরা সকলেই নিজে সুস্থ থাকার...বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন ছাড়া একটা মুহূর্তও চলা একপ্রকার অসম্ভব বললেই চলে। তাই এখন আমরা সকলেই নিজে সুস্থ থাকার পাশাপাশি ফোনেরও দীর্ঘায়ু কামনা করি, কারণ এটিই এখন আমাদের সবসময়ের সঙ্গী তথা প্রিয় বন্ধু। আর যেহেতু এই স্মার্টফোনের প্রাণভোমরা লুকিয়ে রয়েছে তার ব্যাটারির মধ্যে, তাই হ্যান্ডসেটকে দীর্ঘজীবী করার জন্য তার ব্যাটারির যত্ন নেওয়া একান্ত আবশ্যক, কারণ এটিই স্মার্টফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ এবং এর কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আজকাল প্রায় সব স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থাই হ্যান্ডসেটে সুপার ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সাপোর্ট সহ দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই ব্যাটারি সরবরাহ করে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও স্মার্টফোন কেনার কয়েকদিন পর থেকেই দেখা যায় যে, একটু বেশি ভারী কাজ করলেই খুব দ্রুত ব্যাটারি ক্ষয় হচ্ছে। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল, কেবল বাজেট রেঞ্জের ডিভাইসেই নয়, বেশ অনেকটা টাকা খরচা করে মুঠোফোন কিনলেও ব্যবহারকারীদেরকে এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই ইউজারদের মুশকিল আসান করতে আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদেরকে এমন একটি ফিচারের কথা জানাতে চলেছি, যেটি মূলত স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। ফলে ইউজাররা এই ফিচারটির দ্বারস্থ হলেই হাতের মুঠোয় একটি টেকসই তথা দীর্ঘজীবী স্মার্টফোন পেতে সক্ষম হবেন। আসুন, আর দেরি না করে এই চমকপ্রদ ফিচারটির সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
Optimised Charging কী?
আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদেরকে যে বিশেষ বিচারটির কথা জানাতে চলেছি, তার নাম অপ্টিমাইজড চার্জিং (Optimised Charging)। আগেই বলেছি যে, এটি মূলত স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। ফোন ব্যবহার না হলে চার্জের হার কমিয়ে ব্যাটারির আয়ু বাড়ানোর জন্য এই ফিচারটিকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ফলে আপনি যদি চান যে স্মার্টফোন নামক প্রিয় বন্ধুটি আপনার সাথে দীর্ঘদিনব্যাপী থাকুক, তাহলে এই ফিচারটি ব্যবহার করা একান্ত আবশ্যক। আজকাল প্রায় সমস্ত আইফোন (iPhone) এবং অ্যান্ড্রয়েড (Android) ফোনে এটির দেখা মেলে।
iPhone-এ Optimised Charging কীভাবে কাজ করে?
আইফোনে অপ্টিমাইজড চার্জিং বাই-ডিফল্টরূপে এনাবেল করা থাকে। ব্যাটারি সেটিংসে এই অপশনটির দেখা মেলে। ইউজারদের চার্জিং বিহেভিয়ার নিখুঁতভাবে বোঝার জন্য এই ফিচারটি মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে। সেক্ষেত্রে যদি দেখা যায় যে ফোনটি খুব বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে না, তাহলে এই চমকপ্রদ ফিচারটি আপনাআপনিই ব্যাটারি ক্ষয়ের হার স্লো করে দেয়। এর সুবাদে ব্যাটারির কার্যকারিতা হ্রাস পেতে থাকে, যার ফলে ব্যাটারির আয়ু বৃদ্ধি পায়।
Android ফোনে Optimised Charging কীভাবে কাজ করে?
অ্যান্ড্রয়েডেও অপ্টিমাইজড চার্জিং ফিচার উপলব্ধ রয়েছে, যার নাম 'অ্যাডাপটিভ ব্যাটারি' (Adaptive Battery)। অ্যান্ড্রয়েড ৯ (Android 9) এবং তার পরবর্তী ভার্সন দ্বারা চালিত সকল ডিভাইসে এই ফিচারের দেখা মেলে। ইউজাররা নিজেদের ফোনে মজুত থাকা যে সকল অ্যাপ বা সার্ভিসগুলি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করেন, তা বুঝে নিতে এই ফিচারটি মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে এবং সামগ্রিক ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর জন্য ওই বিশেষ অ্যাপ্লিকেশনগুলির ব্যাটারি পাওয়ারকে অগ্রাধিকার দেয়। এছাড়া ফোন যদি দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার না করা হয়, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাটারি ফাংশন কমিয়ে দেয় এই ফিচার।
Optimised Charging-এর সুবিধা এবং অসুবিধা
সোজা কথায় বললে, অপ্টিমাইজড চার্জিংয়ের কাজ হচ্ছে ফোন ব্যবহার না করা হলে চার্জের হার কমিয়ে ব্যাটারির সামগ্রিক আয়ু বাড়ানো। এটি ব্যাটারির লোড হ্রাস করে এবং সময়ের সাথে সাথে ব্যাটারিকে দীর্ঘজীবী করে তুলতেও সহায়তা করে। যেহেতু মেশিন লার্নিংয়ের ওপর নির্ভর করে ফিচারটি যাবতীয় কার্য সম্পাদন করে, তাই এটিকে আলাদাভাবে সেটআপ করার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। ইউজাররা যদি ফিচারটিকে অন করে রাখেন, তাহলে এটি আপনাআপনিই ডিভাইসের ব্যাটারির দেখভাল করবে। অর্থাৎ, ফিচারটির সহায়তায় ব্যবহারকারীরা যে মোটের ওপর উপকৃতই হবেন, সেকথা নিঃসন্দেহে বলাই বাহুল্য।