টাকা দিয়ে ফলোয়ার বাড়াচ্ছে সেলিব্রেটিরা, দীপিকা পাড়ুকোন সহ একাধিককে তলব করবে মুম্বাই পুলিশ

বর্তমানে ভারতে ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি ফলোয়ার, বেশি পাবলিক রিয়াকশন পেতে কার না ভালো লাগে? সাধারণ মানুষও তাদের…

বর্তমানে ভারতে ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি ফলোয়ার, বেশি পাবলিক রিয়াকশন পেতে কার না ভালো লাগে? সাধারণ মানুষও তাদের পোস্টে অত্যধিক লাইক কমেন্ট শেয়ার পেয়ে ভার্চুয়াল জগতে সেলিব্রেটি হয়ে ওঠেন। যার যত বেশি ফলোয়ার সে তত জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য কোনো নিঞ্জা টেকনিক ব্যবহার করেন, তবে পড়তে হতে পারে আইনি গেরোয়।

আসলে, মুম্বই পুলিশ সম্প্রতি অনেক সেলিব্রিটি এবং হাই প্রোফাইল ইউজারদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল খতিয়ে দেখছে, যেখানে অনেক নকল ও বেতনভোগী ফলোয়ার দেখা গেছে। তালিকায় রয়েছে বলিউড ব্যক্তিত্ব থেকে খেলার সাথে যুক্ত ব্যক্তি বা অন্য হাই প্রোফাইল ইউজারের নাম। এঁদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলি ট্র্যাক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (CIU) এবং সাইবার সেল এই প্রোফাইলগুলি ট্র্যাক করবে।

শোনা যাচ্ছে, এই ঘটনায় মুম্বই পুলিশ বলিউডের খ্যাতনামা তারকা দীপিকা পাডুকোন এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা করেছে। আজ আমরা এই সোশ্যাল মিডিয়া কেলেঙ্কারির পেছনে পুরো গল্প আপনাদের বলব।

আগেই বলেছি, ভারতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির জনপ্রিয়তা এবং ইউজারের সংখ্যা গত কয়েক বছরে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। Youtube, Instagram, Facebook, Twitter-এর মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে টাকা উপার্জন করা যায়, এটা হয়তো আপনাদের একাংশই জানেন। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা বিজ্ঞাপনগুলি করে সেলিব্রিটিরাও মোটা অঙ্কের টাকা ইনকাম করেন।

আমরা প্রায়শই ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করার সময় বিজ্ঞাপন দেখি। বিজ্ঞাপনে প্রদর্শিত পণ্যগুলি দেখে মাঝে মধ্যে সেই প্রোডাক্টটি সম্পর্কে আরও জানার বা কেনার ইচ্ছা হয়। এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞাপনে আমরা যদি কোনো প্রিয় বলিউড বা ক্রীড়া তারকাদের দেখি, তখন আমরা প্রোডাক্টটি কেনার চেষ্টা করি বা সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বেড়ে যায়।

এদিকে বিজ্ঞাপন দাতারা সেইসব সেলিব্রিটিদের খোঁজে যাদের ফলোয়ার বেশি। যার যত বেশি ফলোয়ার সে তত বেশি টাকা দাবি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ফলোয়ার বাড়ানোর প্রতিযোগিতা নামে সেলিব্রিটিরা। জানা গেছে, সেলিব্রিটিরা তাদের ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য টাকা ব্যয় করে। কিছু এজেন্সি রয়েছে যারা ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সাহায্যে ফলোয়ার বৃদ্ধি করে। এটি একটি সাইবার ক্রাইম।

যাইহোক আপাতত ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং সাইবার সেল এই কেলেঙ্কারীটি বিশদভাবে তদন্ত করে দেখবে। তদন্ত দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুম্বইয়ের যুগ্ম কমিশনার বিনয় কুমার চৌবে।