একদিনের চার্জে ফোন চলবে বহুদিন, যুগান্তকারী ব্যাটারির হদিশ দিলেন গবেষকরা

স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ সাম্প্রতিক সময়ে ইউজারদের জন্য বেশ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুঠোফোন ল্যান্ডলাইনের মত এক জায়গায় বসিয়ে রাখা, কিংবা কয়েকটা ক্লিক…

স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ সাম্প্রতিক সময়ে ইউজারদের জন্য বেশ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুঠোফোন ল্যান্ডলাইনের মত এক জায়গায় বসিয়ে রাখা, কিংবা কয়েকটা ক্লিক করতে না করতেই ব্যাটারির পার্সেন্টেজ নিম্নমুখী – এ সমস্যা আমাদের প্রায় সবারই। হাই ব্যাটারি ক্যাপাসিটিযুক্ত ফোন কিনেও এ সমস্যার খুব একটা সুরাহা যে হচ্ছে তা নয়! সেক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে এবার একটি নতুন ধরনের রিচার্জেবল ব্যাটারি তৈরি করে বসলেন গবেষকরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির নেতৃত্বাধীন রিচার্জ টিম এই নতুন ব্যাটারি প্রস্তুত করেছে, যা বর্তমান বাণিজ্যিক ব্যাটারির চেয়ে ছয়গুণ বেশি চার্জ সঞ্চয় করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এই নতুন উচ্চ-কর্মক্ষমতা সম্পন্ন রিচার্জেবল ব্যাটারি সেলফোনগুলিকে দৈনিক চার্জের পরিবর্তে সপ্তাহে একবার মাত্র চার্জের উপযোগী করে তুলবে বলেও দাবি করা হয়েছে।

কীভাবে কাজ করবে নতুন রিচার্জেবল ব্যাটারি

বলা হচ্ছে, নতুন অ্যালকালি (ক্ষার) মেটাল ক্লোরিন ব্যাটারিটি সোডিয়াম ক্লোরাইড (Na/Cl2) বা লিথিয়াম ক্লোরাইড (Li/Cl2)-এর সাথে ক্লোরিনের রাসায়নিক রূপান্তরের উপর নির্ভর করে তৈরি হবে। এতে, ইলেকট্রন রিচার্জেবল ব্যাটারির একপাশ থেকে অন্যদিকে ভ্রমণ করবে এবং ব্যাটারি ডিসচার্জ হয়ে গেলে তা বিপরীত দিকে ভ্রমণ করবে। সেক্ষেত্রে এই নতুন ব্যাটারির রসায়নকে বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলির রিচার্জেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

তবে মজার বিষয় এটাই যে, গবেষকরা আদৌ রিচার্জেবল সোডিয়াম এবং লিথিয়াম-ক্লোরিন ব্যাটারি তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেননি। আসলে তারা থিওনাইল ক্লোরাইড ব্যবহার করে তাদের বিদ্যমান ব্যাটারি প্রযুক্তির উন্নতি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের ব্যাটারির কাঠামো, অণু-কার্বন ইত্যাদি নিয়ে গবেষণার পর তারা এই চাঞ্চল্যকর ব্যাটারির ক্ষমতা আবিষ্কার করেন।

উল্লেখ্য, উক্ত ব্যাটারির পজিটিভ ইলেক্ট্রোড উপাদান এখনো পর্যন্ত প্রতি গ্রামে ১,২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার-ঘন্টা ক্ষমতা সরবরাহ করে দেখিয়েছে, যা বিদ্যমান লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি থেকে প্রাপ্ত ২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার-ঘন্টার আউটপুটের থেকে ছয় গুণ বেশি শক্তিশালী।

ব্যবহারিক প্রয়োগের কথা বললে, এই ব্যাটারিটিকে ভবিষ্যতে কৃত্রিম উপগ্রহ বা দূরবর্তী সেন্সরের সাথে সম্বলিত করা হতে পারে। তবে আপাতত, এটি বাটন টাইপ ব্যাটারির সমতুল্য শ্রবণযন্ত্র বা রিমোট কন্ট্রোলের মতো ছোট যন্ত্রগুলিতে ব্যবহার করা হতে পারে। মোবাইলে বা যানবাহনে এটি উপলব্ধ হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট তথ্য নেই…

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন