প্লেনে বসেও হাই স্পিড ইন্টারনেট দেবে Starlink, ভিডিও প্রকাশ করে Jio, Airtel-র সমস্যা বাড়ালো ইলন মাস্ক
সম্প্রতি একটি ২ মিনিটের ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন ইলন মাস্ক। তার এক্স হ্যান্ডেলে এই পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োতে তিনি দেখাতে...সম্প্রতি একটি ২ মিনিটের ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন ইলন মাস্ক। তার এক্স হ্যান্ডেলে এই পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োতে তিনি দেখাতে চেয়েছেন, প্লেনে বসেও কীভাবে হাই-স্পিড গেমিং উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা। ভারতে আসার আগে Starlink পরিষেবার দৌড় কতদূর তার একটা আভাস দিয়ে রাখলেন এই ধনকুবের। কোম্পানির দাবি, মাঝ আকাশেও শক্তিশালী ইন্টারনেট উপভোগ করা যাবে।
ইলন মাস্ক দাবি করেছেন, স্টারলিংকের পারফরম্যান্স এতটাই ব্যতিক্রমী যে ব্যবহারকারীরা ফ্লাইটে বসে রিয়েল-টাইম ভিডিয়ো গেমিং করতে পারবেন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কোনও বাধা ছাড়াই নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। ইঙ্গিত দেয় যে, ব্যবহারকারীরা ট্রানজিটের সময় কোনও সমস্যা ছাড়াই ভিডিয়ো কল এবং অনলাইন মিটিং পরিচালনা করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্টারলিংক 250Mbps থেকে 300Mbps পর্যন্ত ইন্টারনেট গতি দেওয়ার দাবি করেছে। যা প্রচলিত তারযুক্ত অর্থাৎ ওয়্যারড ব্রডব্যান্ড পরিষেবার সমান। দেশের বাজারে স্টারলিংকের প্রবেশের জন্য, স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা শীঘ্রই চালু হতে চলেছে৷ ইলন মাস্কের কোম্পানি বর্তমানে টেলিকম নিয়ন্ত্রকের কাছ থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড স্পেকট্রাম বন্টন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেতে পারে কোম্পানি।
স্টারলিংক ছাড়াও, দৌড়ে রয়েছে এয়ারটেল ওয়ানওয়েব, জিও স্যাটকম এবং অ্যামাজন কুইপার। ২০২৫ সালে দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে পারে স্টারলিংক। তবে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে কোম্পানিটি। সূত্রের দাবি, এখনও নিয়ন্ত্রক সম্মতি পূরণ করতে পারেনি স্টারলিংক। যার ফলে পরিষেবা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয়, অনাপত্তি শংসাপত্র (NoC) পেতে দেরি হতে পারে।
অন্যদিকে, এয়ারটেল এবং জিও ইতিমধ্যেই টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ থেকে তাদের এনওসিগুলি সুরক্ষিত করেছে। এখন শুধু অপেক্ষা কবে স্পেকট্রাম বন্টন প্রক্রিয়া শুরু করে কেন্দ্র।