Zoom ক্লাসে অনুপস্থিত থাকায় ছাত্র কে জেলে পাঠানোর ভয় দেখিয়ে চিঠি পাঠালো স্কুল

স্কুলে পড়ার সময় স্কুল পালিয়ে আমরা সকলেই কমবেশি দুষ্টুমি করতাম। তার জন্য অল্পবিস্তর মারধর, বকুনি এসবও সহ্য করেছি বৈকি। কিন্তু তবুও সেই স্কুল পালানোর মজাটাই…

স্কুলে পড়ার সময় স্কুল পালিয়ে আমরা সকলেই কমবেশি দুষ্টুমি করতাম। তার জন্য অল্পবিস্তর মারধর, বকুনি এসবও সহ্য করেছি বৈকি। কিন্তু তবুও সেই স্কুল পালানোর মজাটাই অন্য রকম ছিল। করোনা মহামারির জন্য সমস্ত ক্লাস অনলাইন হয়ে যাওয়ায় স্কুল পালানোর সুযোগ আগের মতো নেই। তবু ক্লাস কামাই কেউ না কেউ করেই থাকে। আমাদের দেশে এর জন্য বড়জোর শিক্ষকের বকুনি জুটতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি স্কুলের ১২ বছর বয়সী একজন ছাত্রকে তিন দিন কামাই করার জন্য জেলের ভয় দেখিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়।

১২ বছর বয়সী ওই ছাত্রটি সান ফ্রান্সিসকোর স্ট্যানলি মিডল স্কুলের ছাত্র। তার উপর অভিযোগ সে নাকি তিন দিন আধ ঘন্টা করে Zoom-এর অনলাইন ক্লাসে অনুপস্থিত ছিল। ছেলেটির বাবা মার্ক ম্যাসট্রভ জানান, এরপর তাঁর কাছে প্রিন্সিপালের একটি চিঠি আসে, যার মধ্যে কারাদণ্ড-সহ অন্যান্য পরিণামের ভয় দেখানো হয়। শুধু তাকেই নয়, আরও বেশ কয়েকজন এই চিঠি পেয়েছে বলে জানা গেছে।

ছাত্রটির বাবার কথা অনুযায়ী, “হঠাৎ করেই এই চিঠিটা পেলাম। এতে বলা হয়েছে, আমার ছেলে ক্লাসে অনুপস্থিত ছিল, একদম শেষে আইনের উল্লেখ করা আছে, যাতে বলা হয়েছে স্কুলছুটরা ৯০ মিনিট ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে তাদের কারাদণ্ড হতে পারে। আমি সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে ফোন করে বললাম ‘আমি ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে চাই’।”

ম্যাসট্রভের কথায়, তাঁর ছেলে কোন দিন ক্লাস মিস করে না। হতে পারে এদিন তার একটু দেরী হয়ে গিয়েছিল। হয়তো রোলকল হয়ে গিয়েছিল ততক্ষণে।

ক্যালিফোর্নিয়ায় সত্যিই এমন একটি নতুন আইন হয়েছে, যার ফলে ক্লাসে অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। স্টেট এডুকেশন কোড অনুযায়ী যদি কোন ছাত্র কোন কারণ ছাড়াই তিন দিন স্কুল কামাই করে বা ৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে অনুপস্থিত থাকে তাহলে তাকে স্কুলছুট হিসাবে ধরা হয়। স্কুলছুটদের মেকআপ ক্লাস, ফাইন বা জেল অব্দি হতে পারে।

প্রিন্সিপাল বেটসি ব্যালম্যাটের মতে, ছাত্রছাত্রী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে স্কুলের তরফ থেকে অভিভাবকদের তিনটি অটোমেটিক কল করা হবে। কলের কোন উত্তর না পেলে তবেই চিঠি পাঠানো হয়। ছেলেটির বাবা অবশ্য বলেছেন তিনি স্কুলের তরফ থেকে কোন কল পাননি।