প্রিয় বন্ধুকে হারালাম, গুগলের সিইও থেকে নরেন্দ্র মোদী, রতন টাটার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ সবার

রতন টাটা আর সশরীরে বেঁচে নেই। সারাজীবন ভারতের ভালো চেয়ে যাওয়া মানুষটির জীবনের চাকা থেমেছে গতকাল রাতে ৮৬ বছর বয়সে।...
Suman Patra 10 Oct 2024 12:53 PM IST

রতন টাটা আর সশরীরে বেঁচে নেই। সারাজীবন ভারতের ভালো চেয়ে যাওয়া মানুষটির জীবনের চাকা থেমেছে গতকাল রাতে ৮৬ বছর বয়সে। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে ভারত তথা বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে সেলিব্রিটি, বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ স্মরণ করছেন রতন টাটাকে।

গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইও রতন টাটার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। একটি এক্স পোস্টে সুন্দর পিচাই লিখেছেন, 'গুগলে রতন টাটার সাথে আমার শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল। আমরা ওয়েইমোর অগ্রগতি সম্পর্কে কথা বলেছিলাম এবং তার দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছিল। তিনি ভারতে আধুনিক ব্যবসায়িক নেতৃত্বের পরামর্শদাতা ও বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ভারতকে আরও উন্নত করার বিষয়ে গভীরভাবে যত্নবান ছিলেন। তাঁর প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং শান্তিতে থাকুন শ্রী রতন টাটাজি।'

প্রিয় বন্ধুকে হারালেন মুকেশ আম্বানি

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানিও রতন টাটার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন 'এটি ভারতের জন্য অত্যন্ত দুঃখের দিন এবং টাটার প্রয়াণ কেবল টাটা গ্রুপের নয়, প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য একটি বড় ক্ষতি।' মুকেশ আম্বানি তাঁর পোস্টে আরও জানিয়েছেন, তিনি একজন প্রিয় বন্ধুকে হারালেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রতন টাটার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। রতন টাটার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে মোদি লিখেছেন, 'রতন টাটা একজন দূরদর্শী মানুষ ছিলেন; একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তার নম্রতা এবং আমাদের সমাজের উন্নতিতে তার ভূমিকার জন্য রতন টাটাকে মনে রাখবে সবাই।'

২০০৮ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন রতন টাটা

রতন টাটা ভারতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় এবং প্রিয় শিল্পপতি ছিলেন, যিনি টাটা গ্রুপকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে ২০১২ সালে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত টাটা গ্রুপের হোল্ডিং সংস্থা টাটা সন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন।

Show Full Article
Next Story