দেশে ব্যাটারি ও চিপসেট তৈরি করবে TATA, 2024-এ চীনকে আরেকটি ধাক্কা দিতে চলেছে ভারত!
একটা সময় ছিল যখন আমাদের পড়শি দেশ চীন স্মার্টফোন, ইলেকট্রনিক্স পার্টস এবং গাড়ি তৈরির জন্য বিশ্ববাজারে অত্যন্ত সমাদৃত...একটা সময় ছিল যখন আমাদের পড়শি দেশ চীন স্মার্টফোন, ইলেকট্রনিক্স পার্টস এবং গাড়ি তৈরির জন্য বিশ্ববাজারে অত্যন্ত সমাদৃত ছিল। চীনে তৈরি গাড়ি ও স্মার্টফোন, ভারতসহ গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে জনপ্রিয়তার নিরিখে পেছনে ফেলত। আর এই কারণে সেখানকার অর্থনীতিও অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল, এমনকি অন্যান্য দেশ চীনের কাছে ঋণের ফাঁদে আটকে যেত। কিন্তু করোনা মহামারী, গোটা পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে – চীনে ব্যাপকভাবে ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ায় সেখানকার ব্যবসা, কাজ সমস্ত কিছুতেই ব্যাঘাত ঘটে। অন্যদিকে ওই সময় থেকেই ভারত, আমেরিকাসহ অনেক বড় বড় বাজার, চীনকে ডেটা পাচার জাতীয় অভিযোগে ব্যবসায়িকভাবে কোণঠাসা করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে ভারত 'মেক ইন ইন্ডিয়া' কর্মসূচির দিকে অনেকটা এগিয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের দেশ স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে নিজের শক্তি বাড়িয়েছে। এমনকি ভারত অভ্যন্তরীণভাবে গাড়ির যন্ত্রাংশও তৈরি করছে। সেক্ষেত্রে এই নতুন বছরে ভারত, 'আত্মনির্ভর' হওয়ার প্রয়াস আরও মজবুত করতে সেমিকন্ডাক্টর ব্যাটারি ও চিপসেট বানানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এবার ভারতে তৈরি হবে ব্যাটারি এবং চিপসেট
সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে, টাটা গ্রুপ (TATA Group) দেশীয় স্তরে চিপসেট উৎপাদন এবং লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনের কারখানা স্থাপন করবে। এতে করে আগামী দিনে ভারতে গাড়ি ও স্মার্টফোনের দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে এর পাশাপাশি বাড়তে পারে চীনের উদ্বেগও, কারণ এখনও পর্যন্ত গাড়ি এবং স্মার্টফোন তৈরিতে ব্যবহৃত ব্যাটারিগুলি চীন বা তাইওয়ানের মতো দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
ভারতের কোথায় টাটার কারখানা হবে?
টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন ঘোষণা করেছেন যে, গুজরাটের ধলেরাতে তাদের সংস্থা একটি বড় সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। আর এই বছর মানে ২০২৪ সালেই এর কাজ শুরু হবে – চন্দ্রশেখরনের মতে, আগামী দুই মাসের মধ্যে গুজরাটের সানন্দ শহরে ২০ গিগাওয়াট লিথিয়াম-আয়ন স্টোরেজ ব্যাটারি কারখানার নির্মাণ শুরু করার পরিকল্পনা চলছে।