দেশের অন্যতম সুরক্ষিত গাড়ি কেন বুঝিয়ে দিল Tata Punch, বড় দুর্ঘটনার পরেও অক্ষত

রাস্তায় বেরোলে বিপদ কিভাবে আসবে তার আগাম হদিশ কারোর পক্ষেই পাওয়া সম্ভব নয়। বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে, “সাবধানের মার নেই”। তাই রাস্তায় বিপদের আশঙ্কার…

রাস্তায় বেরোলে বিপদ কিভাবে আসবে তার আগাম হদিশ কারোর পক্ষেই পাওয়া সম্ভব নয়। বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে, “সাবধানের মার নেই”। তাই রাস্তায় বিপদের আশঙ্কার কথা ভেবে যারা অধিক সেফটি রেটিং বা নিরাপত্তা মান যুক্ত গাড়ি কিনেছেন অথবা কিনবেন বলে ভাবছেন, আদতে তারাই ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’ প্রতিপন্ন হতে পারেন। ভারতে ঘটে যাওয়া সম্প্রতি এক অঘটন এমনটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। কি সেই ঘটনা শুনতে চান?

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে রাখা ইটের স্তুপে সজোরে ধাক্কা গাড়ির। সৌভাগ্যবশত গাড়িটি ছিল ফাইভ স্টার রেটিং প্রাপ্ত সাব-কম্প্যাক্ট এসইউভি টাটা পাঞ্চ (Tata Punch)। যে কারণে গাড়ি বা গাড়িতে উপস্থিত যাত্রীদের কারোরই তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গোপালগঞ্জ এলাকায়। যার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই ইউটিউবে আপলোড হয়েছে।

Tata Punch proves, Tata Punch proves the worth of 5 star safety rating, Tata Punch undamaged after accident , Tata Punch Price, Tata Punch Features

রাস্তার ধারে একটি দোকানের পাশে ইটের স্তুপে টাটা পাঞ্চ উচ্চ গতিতে ধাক্কা মারামাত্রই সিনেমার মতো সমস্ত ইট ধুলো উড়িয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তাজ্জব করে এর পরের ঘটনা। দিব্যি অক্ষত অবস্থায় গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন চালক ও একজন যাত্রী। যা সত্যি অকল্পনীয়। টাটা পাঞ্চের জায়গায় যদি অন্য কোনো গাড়ি থাকতো, তবে তার পরিণাম কি যে হতো, তা বলা মুশকিল।

টাটা পাঞ্চে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রয়েছে G-NCAP প্রদত্ত নিরাপত্তাজনিত ৫ স্টার সেফটি রেটিং। G-NCAP-র ক্র্যাশ টেস্টে গাড়িটি ১৭ পয়েন্টের মধ্যে ১৬.৪৫ পয়েন্ট পেয়ে নিজের নৈপুণ্য দেখিয়েছিল। ALFA-ARC প্লাটফর্মে তৈরি হয়েছে গাড়িটি। সুরক্ষা জনিত ফিচারের তালিকায় রয়েছে ডুয়েল ফ্রন্ট এয়ারব্যাগ, এবিএস, ইবিডি, কর্নার ইনস্টাবিলিটি কন্ট্রোল, ISOFIX চাইল্ড সিট, প্রভৃতি।

টাটা পাঞ্চ একটি থ্রি সিলিন্ডার, ১.২ লিটার ন্যাচারালি অ্যাস্পিরিটেড, রিভোট্রন পেট্রোল ইঞ্জিনে দৌড়য়। যাতে রয়েছে ‘Dynapro’ প্রযুক্তি। ইঞ্জিনটি থেকে ৬,০০০ আরপিএম গতিতে ৮৪.৪৮ বিএইচপি ক্ষমতা এবং ৩,৩০০ আরপিএম গতিতে ১১৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। ৫-স্পিড ম্যানুয়াল অথবা অটোমেটিক গিয়ার বক্স বিকল্পে বেছে নেওয়া যায় গাড়িটি। সম্প্রতি গাড়িটির বেস ভ্যারিয়েন্ট ‘পিওর’ এর দাম ১৫,০০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫.৮২ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)।