Mahindra XUV300 কে হারিয়ে ভারতের সবচেয়ে সুরক্ষিত গাড়ি Tata Punch: NCAP

ইতিমধ্যেই ‘মধ্যবিত্তের গাড়ি’-র তকমা জুটিয়েছে ভারতের অন্যতম অটোমোবাইল সংস্থার গাড়ি Tata Punch।ভারতের বাজারে এখনও অফিশিয়ালি লঞ্চ না হলেও গত মাসের শেষ থেকে গাড়িটির আন-অফিসিয়াল প্রি-বুকিং…

ইতিমধ্যেই ‘মধ্যবিত্তের গাড়ি’-র তকমা জুটিয়েছে ভারতের অন্যতম অটোমোবাইল সংস্থার গাড়ি Tata Punch।ভারতের বাজারে এখনও অফিশিয়ালি লঞ্চ না হলেও গত মাসের শেষ থেকে গাড়িটির আন-অফিসিয়াল প্রি-বুকিং নেওয়া শুরু করে দিয়েছিল মুম্বাই, দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের কয়েকটি নির্বাচিত ডিলার। এবার গাড়িটির নিরাপত্তার বিষয়ে শংসাপত্র প্রকাশ করল Global NCAP। সেখানে দেখা যাচ্ছে সুরক্ষার দিক থেকে Tata-র ছোট এই এসইউভিটি পাঁচটা তারাই (ফাইভ স্টার) জিতে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তার দৌড়ে গাড়িটি Tata Nexon, Altroz এমনকি Mahindra XUV300-কেও পেছনে ফেলেছে। হ্যাঁ সম্প্রতি এমনই বিস্ময়কর তথ্য সামনে এনেছে গাড়ির সুরক্ষা বিষয়ক শংসাপত্র প্রদানকারী সরকারি সংস্থাটি।

এতদিন পর্যন্ত মাহিন্দ্রা এক্সইউভি৩০০ ছিল ভারতের সর্বাধিক সুরক্ষিত গাড়ি। প্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ১৭ পয়েন্টের মধ্যে গাড়িটির ঝুলিতে রয়েছে ১৬.৪২ এবং শিশুদের সুরক্ষা ক্ষেত্রে ৪৯ পয়েন্টের মধ্যে এর দখলে রয়েছে ৩৭.৪৪। তবে টাটা পাঞ্চ এই সমস্ত রেকর্ড ভেঙে তালিকার প্রথম স্থানটি দখল করে নিয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ১৭ পয়েন্টের মধ্যে পাঞ্চ ১৬.৪৫ এবং শিশুদের সুরক্ষা ক্ষেত্রে ৪৯ পয়েন্টের মধ্যে ৪০.৮৯ পেয়েছে।

Tata Punch প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কতটা সুরক্ষিত

এনসিএপি-র রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির চালক এবং যাত্রীদের মাথা, ঘাড়, বুক, হাটু এবং পা- সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের পর্যাপ্ত সুরক্ষা রয়েছে টাটা পাঞ্চ-এ।

এছাড়াও গাড়িটির বডিসেল ও ফুটওয়েল অতি সুরক্ষিত। সিট বেল্ট রিমাইন্ডার এবং ৪ চ্যানেল এবিএস-এর মতো সুরক্ষিত অথচ আকর্ষণীয় ফিচার থাকার কারণে টাটার এই গাড়িটি ইউএন৯৫ পরীক্ষাও পাশ করেছে। উপরের উল্লিখিত সমস্ত স্পেসিফিকেশনগুলি ‘ফাইভ স্টার’ জিতে নিয়েছে।

Tata Punch শিশুদের জন্য কতটা সুরক্ষিত

গাড়িটির ভেতরে ISOFIX কানেক্টরের সাথে ১.৫ থেকে ৩ বছরের শিশুদের জন্য লেগ সাপোর্টের সুবিধা যুক্ত একটি চাইল্ড সিট রয়েছে। গাড়িটির পেছনের সিটে রয়েছে একটি ল্যাপ বেল্ট। এক্ষেত্রেও উপরের প্রত্যেকটি স্পেসিফিকেশন ‘ফাইভ স্টারের’ আওতাধীন।

Tata Punch-এর রঙ এবং ফিচার

সাতটি রঙের বিকল্পে পাওয়া যাবে গাড়িটি। যেগুলি হল অ্যাটোমিক অরেঞ্জ, মেটিওর ব্রোঞ্জ, ডেটোনা গ্রে, ক্যালিপসো রেড, টর্নেডো ব্লু, ট্রপিকাল মিস্ট এবং অর্কাস হোয়াইট।

টাটা পাঞ্চ গাড়িটি অ্যাজাইল লাইট ফ্লেক্সাইবেল অ্যাডভান্সড ‌আর্কিটেকচারের সাথে পাওয়া যাবে। টাটার নতুন প্রযুক্তি ইম্প্যাক্ট ২.০ ডিজাইন যুক্ত করা হয়েছে এতে। এছাড়াও গাড়িটিকে এসইউভি সেগমেন্টের আওতাধীন করার জন্য মোটা প্লাস্টিক ক্ল্যাইডিং মোড়ানো রয়েছে এর চতুর্দিকে। বাইরের দিকে ডুয়েল টোন কালার গাড়িটিকে অ্যাগ্রেসিভ লুক দিয়েছে।

অন্যান্য তাৎপর্যপূর্ণ ফিচারগুলি হল একটি সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপেল কার-প্লে প্রযুক্তির সাথে ৭ ইঞ্চির ইনফোটেইনমেন্ট টাচস্ক্রিন, টাটার নতুন iRA কানেক্টেড ফিচার প্যাক, ফ্ল্যাট বটম স্টিয়ারিং, মাল্টিপল ড্রাইভ মোডস, ক্রুজ কন্ট্রোল, অটো ওয়াইপার, হেড ল্যাম্প ইত্যাদি।

Tata Punch-এর ইঞ্জিন

টাটার এই গাড়িতে তিনটে সিলিন্ডার যুক্ত ১.২ লিটারের একটি পেট্রোল মোটর রয়েছে। মোটরটি থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ বিএইচপি শক্তি এবং ১১৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। এছাড়াও দুটি ট্রান্সমিশন সেটআপের বিকল্পে পাওয়া যাবে গাড়িটি – ৫ স্পিড মানুয়াল ট্রান্সমিশন এবং অটোমেটিক ট্রান্সমিশন।

Tata Punch-এর দাম

৫ থেকে ৮.৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি থাকতে পারে গাড়িটির দাম। বাজারে আসার পর Tata Punch-এর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হবে Maruti Suzuki Swift, Hyundai i10 NIOS, Mahindra kuv 100 এবং Maruti Suzuki Ignis।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন