EVoting: স্মার্টফোনের মাধ্যমে দেওয়া যাবে ভোট, দেশের প্রথম ই-ভোটিং অ্যাপ আনল এই রাজ্য
এবার ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। কেননা ঘরে বসে নিজের স্মার্টফোন ব্যবহার করেই নাগরিকেরা সেই কাজ...এবার ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। কেননা ঘরে বসে নিজের স্মার্টফোন ব্যবহার করেই নাগরিকেরা সেই কাজ করতে পারবেন! আজ্ঞে হ্যাঁ, গত বুধবার তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকার একটি নতুন 'e-voting' মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রকাশ্যে আনে। বিশ্বব্যাপী অতিমারি সহ আরো কিছু বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে এই ই-ভোটিং অ্যাপ তৈরী করা হয়েছে। তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকারের বৈদ্যুতিন, তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রকের সহায়তায় তেলেঙ্গানা রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা টিএসইসি (TSEC) অ্যাপ্লিকেশনটি প্রস্তুত করে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করেছে সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং বা সিডিএসি (CDAC)।
উপরোক্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়াও স্মার্টফোনে ব্যবহারযোগ্য ই-ভোটিং অ্যাপ নির্মাণে সাহায্য করেছেন প্রফেসের রজত মুনা। তিনি আইআইটি ভিলাইয়ের ডিরেক্টর এবং ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের (ECI) অন্যতম উপদেষ্টা। একইসাথে আইআইটি দিল্লি এবং মুম্বইয়ের একাধিক প্রফেসর আলোচ্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরীর প্রোজেক্টে অংশগ্রহণ করেছেন।
'e-voting' মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন দেবে এই সুবিধা
নতুন ই-ভোটিং অ্যাপ্লিকেশন তৈরীর ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তার পাশাপাশি আরো বেশ কিছু দিক গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করা হয়েছে। যেমন, যে সমস্ত ভোটার কোনরকম প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত, যারা গুরুতরভাবে অসুস্থ বা যারা ঘর ছেড়ে বাইরে কর্মরত অথবা পোলিং কর্মী এবং আইটি প্রফেশনালেরা ই-ভোটিং অ্যাপের দ্বারা উপকৃত হবেন। এছাড়া বরিষ্ঠ নাগরিকদের ভোটদানের ক্ষেত্রেও এটি সুবিধা জোগাবে।
e-voting অ্যাপ্লিকেশনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে সরকারি পরিকল্পনা
কিন্তু ঠিক কিভাবে কাজ করবে ই-ভোটিং অ্যাপ্লিকেশন? সত্যিই কি এর মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহার করে ভোট দান সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, অ্যাপের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গানা সরকার একটি নকল নির্বাচনের আয়োজন করেছে। ৮-১৮ই অক্টোবরের মধ্যে আবেদনকারী ভোটারদের নিয়ে খাম্মাম জেলার এই নকল ভোটদান প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে।
যেভাবে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভোটদান সম্ভব হবে
স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভোটিংকে বাস্তব করে তোলার জন্য ই-ভোটিং অ্যাপ্লিকেশন অত্যাধুনিক ব্লকচেন (Blockchain) প্রযুক্তিকে ব্যবহার করবে। তাছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) বা AI -কে কাজে লাগিয়ে এটি থ্রি ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে আধার কার্ড অনুযায়ী ভোটারের নাম, জীবিতাবস্থা এবং এপিক (EPIC) ডেটাবেস থেকে প্রাপ্ত তার ছবি মিলিয়ে দেখবে। ইংরেজি ও তেলেগু উভয় ভাষা উপলব্ধ হওয়ার ফলে অ্যাপ্লিকেশনটি নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবু তাদের সুবিধার্থে অ্যাপের হেল্প সেকশনে বেশ কিছু টিউটোরিয়াল ভিডিও যুক্ত করা হয়েছে।
'TCEC e-Vote' অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার জন্য একক ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট ডিভাইস আইডি এবং ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সেরে ফেলতে পারেন। এরপর রেজিস্ট্রেশনের সময় ব্যবহৃত ডিভাইস দিয়েই ভোটদান করা যাবে। ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে একজন অ্যাডমিন পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করবেন। এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য যথাযথ সিকিউরিটি সুরক্ষা সহ সরকারি ভাবে সঞ্চিত থাকবে।