Tesla: চীনে বৈদ্যুতিক গাড়ির নতুন কারখানা গড়ছে টেসলা, বিশবাঁও জলে ভারতে আসার সম্ভাবনা
ভারতে টেসলার (Tesla) কারখানা গড়ার ক্ষীণ আশার আলোটুকুও কি এবার নিভতে চলেছে? সম্প্রতি টেসলার চীনে নতুন কারখানা তৈরির...ভারতে টেসলার (Tesla) কারখানা গড়ার ক্ষীণ আশার আলোটুকুও কি এবার নিভতে চলেছে? সম্প্রতি টেসলার চীনে নতুন কারখানা তৈরির ঘোষণায় সেই প্রশ্নই উঠে আসছে। চীনের সাংহাইতে তাদের বিদ্যমান কারখানা গিগাফ্যাক্টরির পাশে অপর একটি নির্মাণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। যা গিগাফ্যাক্টরি থেকে অন্যান্য দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি রপ্তানিতে সহায়তা করবে। এর ফলে ভারতের মাটিতে টেসলা যে গাড়ি তৈরিতে ইচ্ছুক নয়, তা সহজেই বোধগম্য হচ্ছে।
বর্তমানে সাংহাইয়ের গিগাফ্যাক্টরি থেকে এশিয়া এবং ইউরোপে একাধিক দেশে গাড়ি রপ্তানি করে টেসলা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১-এ বিশ্ববাজারে ৯,৩৬,০০০টি ইলেকট্রিক গাড়ি রপ্তানির মধ্যে ৪,৮৪,১০০টি এসেছে সাংহাইয়ের গিগাফ্যাক্টরি থেকে। এদিকে চীন, আমেরিকা এবং ইউরোপের পর বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম গাড়ির বাজার হল ভারত। যেখানে টেসলা ইতিমধ্যেই ব্যবসা শুরুর প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছিল গত বছর। বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি করে ভারতে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির ইচ্ছা প্রকাশ করে টেসলা। কিন্তু ভারতে দামী গাড়ির আমদানি শুল্কের পরিমাণ ১০০% হওয়ায় গাড়ির দাম ব্যাপক বেড়ে যাবে, এই আশঙ্কায় ব্যবসা শুরু করা থেকে বিরত থাকে সংস্থাটি।
সংস্থার তরফে আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য মোদি সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু টেসলার এই ইচ্ছাকে গুরুত্ব না দিয়ে, ভারতের মাটিতে কারখানা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয় ভারত সরকার। তাদের বলা হয়, যাতে ভারতের মাটিতে গাড়ি তৈরি করে এদেশের বাজারে বিক্রির পাশাপাশি বিদেশেও গাড়ি রপ্তানি করে। কিন্তু ইলন মাস্কের (Elon Musk) কোম্পানি সে পথে হাঁটতে নারাজ। এই নিয়ে টেসলা ও ভারত সরকারের মধ্যে একাধিকবার কথাবার্তা চলে। কিন্তু শেষমেশ কোনো পক্ষই কোনো সমাধান সূত্র খুঁজে পায়নি।
অতীতে একাধিকবার এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীকে (Nitin Gadkari) সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে। কিছুদিন আগেও তিনি টেসলার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাটি যাতে ভারতে কারখানা তৈরি করে ব্যবসা শুরু করে। এমনকি ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসায় টেসলা লাভের মুখ দেখবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। কিন্তু চীন থেকে গাড়ি আমদানি করে এ দেশের বাজারে বিক্রি করা যাবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। যদিও মন্ত্রীর এই আহ্বানে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি টেসলা।