App: উচ্চ-রক্তচাপ ও হাইপারটেনশন কমাতে সাহায্য করছে এই মোবাইল অ্যাপ

তিন বছরের দীর্ঘ গবেষণা, আর তাতে সামিল প্রায় ২৮,০০০ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক। ফলাফল কিন্তু বেশ চমকপ্রদ। কেবলমাত্র একটি স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত মনিটর…

তিন বছরের দীর্ঘ গবেষণা, আর তাতে সামিল প্রায় ২৮,০০০ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক। ফলাফল কিন্তু বেশ চমকপ্রদ। কেবলমাত্র একটি স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত মনিটর কিভাবে উচ্চ-রক্তচাপ এবং ধারাবাহিক দুশ্চিন্তার মতো অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে সেটা প্রত্যক্ষ করে দেখালেন একদল গবেষক। তাদের গবেষণার সারকথা প্রকাশিত হলো JAMA Network Open জার্নালে।

যে গবেষণার কথা আমরা এখানে বলছি সেটি ‘Hello Heart’ প্রোগ্রাম নামে এর মধ্যেই পরিচিতি লাভ করেছে। সদস্যদের রক্তচাপ, ওজন এবং শারীরিক সক্রিয়তার উপরে নজর রেখে এই প্রোগ্রাম তাদের উচ্চ-রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে। এক বছর প্রোগ্রামের অধীনে থাকার পর হাইপারটেনশনের ভুক্তভোগী প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ তাদের সিস্টোলিক প্রেসার কমাতে সফল হয়েছেন।

হ্যালো হার্ট প্রোগ্রাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্সিস বিটি জানিয়েছেন, “দীর্ঘস্থায়ীভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ডিজিটাল হেল্থ অ্যাপ্লিকেশনের কার্যকারিতা সম্পর্কে এটিই প্রথম গবেষণা যা উপযুক্ত পর্যবেক্ষণের পর প্রকাশিত হয়েছে।”

উল্লেখ্য, Hello Heart প্রোগ্রামে একটি ব্লাডপ্রেসার মনিটর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল অ্যাপে রিডিং প্রেরণ করে। এর মাধ্যমে একজন মানুষের রক্তচাপজনিত সমস্যার উপরে নজর রাখা সম্ভব যা আলোচ্য প্রোগ্রাম করে দেখিয়েছে। ১লা জানুয়ারি, ২০১৫ থেকে ১লা জুলাই, ২০২০ তারিখের মধ্যে রক্তচাপ বা ধারাবাহিক দুশ্চিন্তার সমস্যায় বিব্রত মার্কিন নাগরিকেরা এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে উপকৃত হয়েছেন। গবেষকদের দাবী, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে মোবাইল প্রযুক্তি আগামীদিনে বড় ভূমিকা নিতে পারে।

রক্তচাপ ও হাইপারটেনসনের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা কার্যকর না হলে আলোচ্য প্রোগ্রামের গবেষণা ভুক্তভোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসার শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে সোডিয়াম ইনটেক রিডাকশন, স্ট্রেস এবং স্লিপ ম্যানেজমেন্টের মতো পদ্ধতি উপকারী হতে পারে। অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এমন যাবতীয় উপদেশ রোগীর কাছে পৌঁছে যাবে বলে গবেষকদলের বক্তব্য।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে মোবাইল-প্রযুক্তি কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে ভবিষ্যতে আরো অনেক গবেষণা হবে। তবে আমাদের আলোচ্য গবেষণা এব্যাপারে পথপ্রদর্শক হতে পারে। যদিও তার আগে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা সংগ্রহের জন্য একে আরো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রয়োগের মধ্যে দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে যা কিছুটা হলেও সময়সাপেক্ষ।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন