এই তিনটি কারণে খুব তাড়াতাড়ি বৈদ্যুতিক যানবাহন সেনাবাহিনীর কাছে অত্যন্ত ভরসার হয়ে উঠবে

পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে বৈদ্যুতিক যানবাহনের যে, কোনো বিকল্প নেই তা এককথায় স্বীকার করে নিয়েছেন সকলেই। সাধারণ মানুষের জন্য এটি বিশেষ উপযোগী। এখন প্রশ্ন যেকোনো দেশের…

পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে বৈদ্যুতিক যানবাহনের যে, কোনো বিকল্প নেই তা এককথায় স্বীকার করে নিয়েছেন সকলেই। সাধারণ মানুষের জন্য এটি বিশেষ উপযোগী। এখন প্রশ্ন যেকোনো দেশের সুরক্ষা ক্ষেত্রে যারা দিনরাত এক করে প্রাণের মায়া বিসর্জন দিতে প্রস্তুত তাদের ক্ষেত্রেও কি একথা প্রযোজ্য? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, এখানে সেনাবাহিনীর কথাই বলা হচ্ছে। আমরা জানি প্রতিনিয়ত লড়াই করে টিকে থাকতে হয় একজন দেশমাতার সেবককে। সেই লড়াইটা যে কেবলমাত্র রক্তমাংসের শত্রুর সাথে, তা সব সময় সত্যি নাও হতে পারে। চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, অতি সঙ্কটজনক পরিস্থিতি ও দুর্গম পথে যাত্রার মধ্যে দিয়ে টিকে থাকতে গেলে লড়াই করার প্রয়োজন পড়ে বৈকি। যা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে এক কথায় অসম্ভব। তাই অতি দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীদের গাড়িগুলিও হয় ততোধিক শ্রমশালী।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, সেনাবাহিনীতে পেট্রোল-ডিজেল চালিত শক্তিশালী গাড়ির পরিবর্তে বৈদ্যুতিক যান কেনই বা ব্যবহার করা হবে? বিদ্যুৎ চালিত গাড়িগুলি কি জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির মতোই সমান দক্ষতা প্রদান করতে সক্ষম? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজ এই প্রতিবেদন। আসুন সেগুলি দেখে নেওয়া যাক।

এখানে জানিয়ে রাখি ইতিমধ্যেই ভারত সহ একাধিক দেশের নিরাপত্তা বাহিনীতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের মধ্যে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল-কেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ এগুলিতে চলমান যন্ত্রাংশের সংখ্যা কম হওয়ায় আওয়াজ বেরোয় না বললেই চলে। তাই নিঃশব্দে শত্রুর গতিবিধির উপর নজরদাড়ি ও মোকাবিলায় ইলেকট্রিক বাইক আদর্শ প্রমাণিত হতে পারে। পাশাপাশি একটি বিদ্যুৎ চালিত বাহনের কার্যকারিতা জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত মোটরবাইকের থেকে কোনো অংশে কম নয়। তাই অনায়াসেই এর উপর ভরসা করাই যায়।

অন্যদিকে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলে কোন পেট্রোল অথবা অন্য কোন তেল জাতীয় পদার্থ ব্যবহৃত না হওয়ায় এ থেকে তেল চুঁইয়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। এগুলি যেকোনো আবহাওয়া ও প্রতিকূল ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে চলতে সক্ষম। এমনকি জলাভূমি দিয়ে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানির যানবাহন গেলে এর সাইলেন্সর পাইপে জল ঢুকে তা বিকল হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। কিন্তু বৈদ্যুতিক বাহনে এরকম কোনো সম্ভাবনাই নেই।

এছাড়া ইলেকট্রিক টু-হুইলারের ওজন আইসিই মোটরবাইকের তুলনায় কম হওয়ায় এগুলি পরিচালনা করা অতি সহজ। সুগম থেকে অতি দুর্গম রাস্তাতেও এগুলি দারুন কার্যকারিতা দেখায়। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে একথা বলাই যায়, যে কোনো দেশের সুরক্ষা ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক যানবাহন জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির মতই সমান কার্যকর।