Smartphone-এ ভালো ফটো বা ভিডিও তুলতে চান? এই 5 ক্যামেরা ও ফিচার আছে কিনা দেখে নিন
Smartphone camera tips: চটজলদি কোনো মুহূর্ত বন্দি করে রাখার জন্য বা শখ করে ফটো-ভিডিওগ্রাফির করার উদ্দেশ্যে আজকালকার দিনে...Smartphone camera tips: চটজলদি কোনো মুহূর্ত বন্দি করে রাখার জন্য বা শখ করে ফটো-ভিডিওগ্রাফির করার উদ্দেশ্যে আজকালকার দিনে সকলেই স্মার্টফোনের ওপর নির্ভর করেন। আর মোবাইল ব্র্যান্ডগুলিও বর্তমানে নিজেদের হ্যান্ডসেট ক্যামেরায় এত উন্নতি করেছে যে, এগুলি কার্যত সাধারণ ক্যামেরার সমতুল্যই ছবি তোলার সুবিধা দেয়। সেক্ষেত্রে আপনি যদি ছবি তোলার জন্য একটি ভালো ফোন কিনতে চান, তাহলে কিন্তু আপনার কিছু বিষয় জেনে নেওয়া এবং সেগুলি মাথায় রাখা দরকার। যেমন, স্মার্টফোনে সাধারণত পাঁচ ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়, যা আপনার তোলা ছবি বা ভিডিওগ্রাফিকে অনন্য করে তোলে। তাই নতুন ফোন কেনার সময় ক্যামেরার এই পাঁচটি দিক অবশ্যই দেখে নেবেন।
এই ক্যামেরাগুলি ফোনের জন্য অপরিহার্য
১. মেইন ক্যামেরা: আজকালকার দিনে ফোনে সাধারণত ট্রিপল বা কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ দেওয়া হয়, যেখানে একসাথে অনেকগুলি ক্যামেরা থাকে। কিন্তু এর মধ্যে মেইন বা প্রাইমারি ক্যামেরাই স্মার্টফোনে ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মূল হাতিয়ার। এই ক্যামেরার লেন্সের মান বা মেগাপিক্সেল সর্বোচ্চ হয়।
২. ফ্রন্ট ক্যামেরা: এই ক্যামেরাটি ফোনের সামনের দিকে অবস্থান করে, যার সাহায্যে নিজ ফটোগ্রাফি তো করা যায়ই, আবার এটি ভিডিও কলিংয়ের জন্যও কাজে লাগে। বর্তমানে স্মার্টফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা এমনভাবে সেট বা ডিজাইন করা হয় যে, এতে একটি একক লেন্সের সাহায্যে পোর্ট্রেট থেকে জুম করার মতো সমস্ত ফিচার মেলে।
৩. টেলিফটো/জুম ক্যামেরা: ফোনের রিয়ার প্যানেলে অবস্থিত এই ক্যামেরাটি দূরবর্তী বস্তুর ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে, দূরে থাকা জিনিসগুলিরও পরিষ্কার এবং স্ফটিক স্বচ্ছ ফটো-ভিডিও তোলা যায়।
৪. মাইক্রো/ম্যাক্রো ক্যামেরা: এই ক্যামেরা বা সেন্সরটি সাধারণত ছোটো এবং খুব সূক্ষ্ম বিবরণের ফটো ক্লিক করতে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে কোনো কিছুর (যেমন ফুল, পোকামাকড় ইত্যাদি) খুব কাছে ফোনের ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে ছবি ক্লিক করতে হয়।
৫. ডেপ্থ সেন্সিং ক্যামেরা: এই ক্যামেরা ফটোগ্রাফি, পোর্ট্রেট মোড এবং বোকেহ্ ইফেক্টের জন্য জরুরি। এটি ফটোর ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করারও কাজে আসে।
মোবাইল ফটোগ্রাফির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলিও
১. মেগাপিক্সেল (MP): সাধারণত ফোনে যতো বেশি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকবে, ততো উচ্চমানের রেজোলিউশন এবং পরিষ্কার ছবি উঠবে। যদিও Google, Apple বা Samsung-এর ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলি কম মেগাপিক্সেলেও ভালো ছবি তোলার সুবিধা দেয়। তাই এই বিষয়টি দেখে নেওয়া দরকার।
২. অপ্টিক্যাল/ডিজিটাল জুম: আপনি যদি দূরের জিনিসের ছবি তুলতে আগ্রহী হন, তাহলে অপ্টিক্যাল জুম ফিচারসহ একটি ভালো ক্যামেরা ফোন কেনা উচিত।
৩. লেন্স এবং অ্যাপারচার: একটি ভালো ক্যামেরা ফোনে উন্নতমানের (কিংবা ব্র্যান্ডেড) লেন্স এবং অ্যাপারচার থাকবে। এতে করে ছবির গুণমান ভালো হবে।
৪. নাইট মোড: আপনি যদি রাতে ফটোগ্রাফি করতে চান, তাহলে ফোনে নাইট ক্যামেরা মোড আছে কিনা দেখে নেবেন। কারণ এতে কম আলোতেও ভালো ছবি উঠবে।
৫. ভিডিও ক্যাপচার: একটি ভাল ক্যামেরা ফোনে হাই রেজোলিউশন, স্লো-মোশন ভিডিও রেকর্ডিং, স্টেবিলিটি এবং ভালো অডিও কোয়ালিটিসহ ভিডিও ক্যাপচারের বিকল্প থাকা উচিত।