জাদুকাঠির ছোঁয়ায় বদলে যাবে লুক, যত খুশি কাস্টমাইজ করা যায় এই 5 মোটরসাইকেল
নিজের সাধের বাইক কিংবা স্কুটারকে সাজাতে কে না ভালোবাসে। সাময়িকভাবে মোটরসাইকেলের এই ক্যানভাসকে ছোট মনে হলেও সুযোগ কিন্তু...নিজের সাধের বাইক কিংবা স্কুটারকে সাজাতে কে না ভালোবাসে। সাময়িকভাবে মোটরসাইকেলের এই ক্যানভাসকে ছোট মনে হলেও সুযোগ কিন্তু অনেক। মানে ধরুন এয়ার ফিল্টার থেকে শুরু করে চেইন স্প্রকেট, কিংবা উন্নত মানের গ্রিপিং করার ক্ষমতা যুক্ত টায়ার অথবা ইসিইউ পরিবর্তন এই সমস্ত কিছুই আপনার দুই চাকার বাহনটিতে করা সম্ভব। তাছাড়া বাইক অথবা স্কুটারের বডি প্যানেলের স্টিকার এর পরিবর্তন কিংবা নতুন কোনো অ্যাক্সেসরিজ লাগানো এই সমস্ত পদ্ধতি তো সকলেরই জানা।
যদিও যে কোনো ধরনের বাইকে নতুন মডিফাই করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভবপর নয়। তবে তা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। ভারতের বাজারে বিক্রি হওয়া সেরা ৫টি মডিফাই যোগ্য মোটরসাইকেল সন্ধান দিলাম আমরা। আপনার সৃজনশীলতাকে সঠিক দিশা দেখানোর জন্য এই মডেলগুলি এক কথায় আদর্শ।
Royal Enfield Classic/Bullet
প্রথমেই বলি ক্লাসিক বাইক নির্মাতা রয়্যাল এনফিল্ডের তৈরি সবকটি মডেলিং নিজের ইচ্ছামত নানা ধরনের কাস্টমাইজ করার সুযোগ রয়েছে আপনার হাতে। এর মধ্যে ক্লাসিক ৩৫০ বাইকটিকে দীর্ঘ এই কয়েক দশক ধরে বাইকপ্রেমীরা বিভিন্ন চেহারায় তাকে সাজিয়ে তুলেছে। লম্বা হ্যান্ডেলবার থেকে শুরু করে দীর্ঘ হুইলবেস, তালিকা কিন্তু অনেকটাই বড়। এর পাশাপাশি অনেকেই ক্লাসিক কিংবা বুলেটে লাগানোর জন্য আফটার মার্কেট এগজস্ট পাইপকেই বেছে নিয়েছেন।
Royal Enfield Himalayan
এবড়ো-খেবড়ো পাহাড়ি রাস্তায় চালানোর উপযুক্ত সক্ষমতা রয়েছে এই হিমালয়ান এর মধ্যে। সেই কারণেই লক্ষ লক্ষ অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী ভারতীয়র কাছে পছন্দের প্রথম স্থানে রয়েছে এই বাইকটি। এমনিতেই দূরে পাড়ি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি লাগানোর বিস্তর অপশন রয়েছে রয়্যাল এনফিল্ড এর এই অ্যাডভেঞ্চার বাইকটির সঙ্গে। লাগেজ ক্যারিয়ার কিংবা পেনিয়ার ব্যাগ থেকে শুরু করে টেলব্যাগ ক্যারিয়ার, জেরিক্যান হোল্ডার এই সমস্ত কিছুই এতে লাগানো সম্ভব। তাছাড়াও অনেকেই একে আবার মডিফাই করে খানিকটা স্ক্র্যাম্বলার লুক দিয়েছেন যা Scram 411 এর চেয়েও অনেক বেশি চিত্তাকর্ষক।
KTM RC 200/390
ট্রেলিস ফ্রেমের উপর তৈরি ফুল ফেয়ারিংযুক্ত স্পোর্ট বাইক হিসাবে KTM RC 200 ও 390 অনেকদিন ধরেই নিজের ফ্যানবেস তৈরি করেছে। কেটিএম এর দাবী অনুযায়ী RC 390 এর মধ্যে রয়েছে রেসিং ট্র্যাকে চলার ডিএনএ। এই বাইকটিতে সাধারণভাবে অনেকেই এর ECU বদলে দিয়ে বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ পরিবর্তন করে থাকে। তাছাড়া অনেকেই এতে আবার এক বিশেষ ধরনের পাওয়ার বক্স সংযুক্ত করেন যা প্রয়োজনমতো মোড পরিবর্তন করে কম বেশি পাওয়ার আউটপুট প্রদান করতে পারে।
Interceptor 650/ Continental GT 650
পূর্বেই আমরা বলেছি রয়্যাল এনফিল্ড এর সব কটি বাইক আসলে এই তালিকার অন্তর্গত। এই সংস্থার তৈরি শক্তিশালী ৬৫০ সিসি ইঞ্জিনের প্ল্যাটফর্মের উপরে তৈরি ইন্টারসেপ্টর এবং কন্টিনেন্টাল জিটি মডেল দুটির ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম প্রযোজ্য। টুইন সিলিন্ডার ইঞ্জিন যুক্ত এই বাইকে হ্যান্ডেল বার, সিটের আপগ্রেডেশন, আফটার মার্কেট এগজস্ট পাইপ, টায়ারের পরিবর্তন হ্যান্ডেল বারের পরিবর্তন সমস্ত কিছুই করা সম্ভব।
Yamaha R15
যে সকল রাইডার রেসিং এর দুনিয়ায় পদার্পণ করতে চান তাদের জন্য Yamaha R15 অনবদ্য। সদ্য লঞ্চ হওয়া এর চতুর্থ ভার্সনের মডেলে কর্ণানিং এবিএস থেকে ট্রাকশন কন্ট্রোল এই সমস্ত রকম মোটর রেসিং এর উপযোগী ফিচার দেওয়া হয়েছে। আর মডিফিকেশনের কথা বলতে গেলে সর্বপ্রথমেই আফটার মার্কেট এগজস্ট পাইপ কিংবা ECU সমস্ত কিছুই পরিবর্তন করা যাবে। এমনকি এর বাহ্যিক ডিজাইনের পরিবর্তন ঘটিয়ে Yamaha R15 এর বৃহৎ সংস্করণ R6 কিংবা R1 এর মত লুক দেওয়া সম্ভব।