ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির কম্পোনেন্ট তৈরি করবে Toyota, রপ্তানি হবে বিদেশেও
খনিজ জ্বালানির ব্যবহার কমানো এবং কার্বন নির্গমনের মাত্রা হ্রাস করার লক্ষ্যে বহু গাড়ি নির্মাতা ইদানিং ভারতে তাদের...খনিজ জ্বালানির ব্যবহার কমানো এবং কার্বন নির্গমনের মাত্রা হ্রাস করার লক্ষ্যে বহু গাড়ি নির্মাতা ইদানিং ভারতে তাদের পরিকল্পনায় রদবদল করছে । পরিবেশবান্ধব গাড়ি এবং তার যন্ত্রাংশ তৈরিতে দেশের নামজাদা সংস্থাগুলি লগ্নির উদ্দেশ্যে ঝাপাচ্ছে। তেমনই অন্যতম জাপানি অটোকার সংস্থা টয়োটা মোটর কর্প (Toyota Motor Corp) ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারকে আরও চাঙ্গা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদেশে সংস্থাটি বৈদ্যুতিক গাড়ির হরেক রকমের উপাদান ও যন্ত্রাংশ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হবে।
ভারতের পর জাপান এবং এশিয়া মহাদেশের আরও কয়েকটি দেশে ইলেকট্রিক গাড়ির সরঞ্জামের চাহিদা দেখে এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে টয়োটা। তারা ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক গাড়ি, প্লাগইন হাইব্রিড এবং অন্যান্য হাইব্রিড মডেলের নানাবিধ যন্ত্রাংশ নির্মাণ করবে। উল্লেখ্য, এই সপ্তাহেই টয়োটা কির্লোস্কার মোটর এবং টয়োটা কির্লোস্কার অটো পার্টস (Toyota Kirloskar Motor and Toyota Kirloskar Auto Parts) কর্ণাটক সরকারের সাথে মৌ স্বাক্ষর করেছে। ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির স্থানীয়করণ বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য ৪,৮০০ কোটি টাকা লগ্নি করার কথা জানিয়েছে।
এই বিনিয়োগ ‘টয়োটা এনভায়রনমেন্টাল চ্যালেঞ্জ ২০৫০’ অর্থাৎ ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার টয়োটা লক্ষ্য পূরণ করতে সহায়তা করবে। এই প্রসঙ্গে টয়োটার কার্যনির্বাহী সহ-সভাপতি বিক্রম গুলাতি বলেন, “ভারতকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির তালুক হিসেবে গড়ে তুলতেই এই অনুপ্রেরণা। এটি হল সমগ্র প্রকল্পের সূচনা।” এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার পূর্বেই জানিয়েছিল, যে সমস্ত কোম্পানি ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং এর যন্ত্রাংশ তৈরি করবে, তাদের মোটা আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। বলাই বাহুল্য, টয়োটা এবার সেই সুযোগর সদ্ব্যবহার করতে চলেছে ।
ভারতে প্রথমে হাইব্রিড গাড়ি নিয়ে আসতেও অধিক উৎসাহী টয়োটা। যা দেশের জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমানোর পাশাপাশি ক্ষতিকর গ্যাসের নির্গমন হ্রাস করার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস সংস্থার। আবার বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জের ঝঞ্ঝাট ছাড়াই এগুলি দেশের নাগরিকদের গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে। এই প্রসঙ্গে গুলাতির বক্তব্য, “এটি বিদ্যুতায়িত ভবিষ্যতের দিকে দ্রুত যাত্রা।” তবে এ কথা অস্বীকার করার জো নেই, যদি বৈদ্যুতিক গাড়ির যন্ত্রাংশ দেশের মাটিতে তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে এর দাম পেট্রোল চালিত গাড়ির সমতুল্য হওয়ার যে আশা জুগিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী, তা একদিন বাস্তবায়িত হবে।