Viral: অফিসে বসে ফোন চার্জ দেওয়া মানে বিদ্যুৎ চুরি, মাইনে কাটার হুঁশিয়ারি বসের

স্মার্টফোনের ব্যাটারি দীর্ঘক্ষণ ব্যাকআপ না দেওয়ার কারণে, আমাদের বাইরে বার হয়েও আকছার এদিক ওদিক চার্জিং পয়েন্ট খুঁজতে হয়! কখনো স্টেশনে, কখনো শিক্ষা প্রাঙ্গণে তো কখনো…

স্মার্টফোনের ব্যাটারি দীর্ঘক্ষণ ব্যাকআপ না দেওয়ার কারণে, আমাদের বাইরে বার হয়েও আকছার এদিক ওদিক চার্জিং পয়েন্ট খুঁজতে হয়! কখনো স্টেশনে, কখনো শিক্ষা প্রাঙ্গণে তো কখনো আবার অফিস-কাছারিতে ফোন চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে ফোন চার্জ করতে গিয়ে যদি কপালে জোটে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ, মানতে পারবেন তো? মানতেই হবে, কারণ বাস্তবেই এক অফিসে কর্মচারীদের ফোন চার্জ দিতে স্পষ্ট বারণ করা হয়েছে; শুধু তাই নয়, ওই অফিসের বস গোটা বিষয়টিকে ‘বিদ্যুৎ চুরি’ আখ্যা দিয়েছেন৷ ইতিমধ্যেই অফিসে ফোন চার্জ করা বন্ধ করতে বলার একটি পোস্টার নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷ যদিও অফিসটি কোথায় এবং কোন কোম্পানির তরফে এই নিয়ম জারি করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

শত প্রয়োজনেও অফিসে চার্জ দেওয়া যাবে না হাতের মোবাইলটি

তবে অফিসের বস শুধু ফোন চার্জ দেওয়ার বিষয়কে বিদ্যুৎ চুরি বলা বা চার্জ দিতে বারণ করাতেই থেমে থাকেননি। বরঞ্চ তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন যে, নিজের কর্মচারীদের ফোন চার্জ করলে বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে বসের এই নোট পোস্টারকে ‘অযৌক্তিক’ ক্যাপশন দিয়ে রেডিট (Reddit)-এ শেয়ার করেছেন এক ইউজার।

ইতিমধ্যে রেডিট-এ ওই পোস্টটি ৩,০০০টিরও বেশি কমেন্ট এবং রিয়্যাক্শন পেয়েছে। আবার বেশ কিছু মানুষ (গ্যাস স্টেশনের কর্মচারী, ওয়ালমার্টের মালিকানাধীন অফিসের কর্মী প্রভৃতি) তাদের নিজেদের কাজের জায়গায় একইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, কোনো কর্মক্ষেত্র বা অফিসে কর্মীদের ফোন চার্জ করা থেকে বিরত থাকার বিষয়টি যতটা অযৌক্তিক, ঠিক ততটাই উদ্ভটও বটে। কারণ বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রে, কর্মীরা প্রায় দশ ঘন্টা সময় কাটায়, এমতাবস্থায় তাদের ফোনের চার্জ ফুরিয়ে যেতেই পারে। তবে অফিসে যদি একান্তই ফোন চার্জ দেওয়া নিষিদ্ধ বিষয় হয়ে থাকে, তাহলে ফোনের ব্যাটারি সেভ করতে তা যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে, নতুবা মোবাইল ডেটা বন্ধ রাখতে হবে। প্রয়োজনে সাথে রাখা যেতে পারে পাওয়ারব্যাংকও।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন