Vivo for education: গরীব শিশুদের পড়াশুনায় সাহায্য করতে ১০ লক্ষ টাকার স্মার্টফোন দেবে ভিভো

জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে যথার্থ শিক্ষার গুরুত্ব যে কতখানি, তা নিশ্চয়ই আর আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু...
techgup 18 Jan 2022 8:29 PM IST

জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে যথার্থ শিক্ষার গুরুত্ব যে কতখানি, তা নিশ্চয়ই আর আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো করোনা মহামারীর কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাও গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে। সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য এখন পুরো শিক্ষাব্যবস্থাই হয়ে গেছে অনলাইন নির্ভর, অর্থাৎ স্কুল, কলেজ বা প্রাইভেট টিউশন - সবকিছুই চলছে অনলাইনে। এর ফলে তৈরি হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইড, কারণ সমাজের সব শ্রেণির মানুষের স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট কেনার মতো ক্ষমতা নেই। তাই অনেক শিশুই অনলাইন শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তবে আনন্দের বিষয়, এই ধরনের শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্মার্টফোন নির্মাতা ভিভো (Vivo) এক অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, যা পিছিয়ে পড়া শিশুদের অনলাইন নির্ভর শিক্ষা অর্জনে সহায়তা করে জীবনে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। সংস্থাটি সম্প্রতি ভিভো ফর এডুকেশন প্রোগ্রাম (Vivo For Education) চালু করেছে। গতকাল এই উদ্যোগের প্রথম পর্যায়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রথম পর্যায়ে কোম্পানি ১০ লক্ষ টাকার ১০০ টি Vivo স্মার্টফোন এবং ১০০ টি সুবিধাবঞ্চিত শিশুর শিক্ষায় সহায়তার জন্য দেড় লক্ষ টাকা নগদ বৃত্তি দেবে বলে জানিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে Vivo India-র ব্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি ডিরেক্টর যোগেন্দ্র শ্রীরামুলা বলেছেন, "কোভিড পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ডিস্ট্যান্স লার্নিংয়ের জন্য বর্তমানে স্মার্টফোন এমন একটি ডিভাইস যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেরই এই মুঠোফোন হাতে পাওয়ার সামর্থ্য নেই। তবে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, দেশের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে সহজে শিক্ষা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে একমাত্র প্রযুক্তিই সাহায্য করতে পারে, কারণ এর মাধ্যমেই খুব সহজে শিক্ষা, জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। তাই অভাবী শিক্ষার্থীরা যাতে অনায়সে তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারে, সেজন্য সাম্প্রতিক এই উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের সাহায্য করতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি, এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর পাশে আমরা থাকার চেষ্টা করব।"

এই উদ্যোগের আওতায়, বর্তমানে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একটি ভিভো স্মার্টফোন এবং নগদ বৃত্তি প্রদান করা হবে। এর আগে, সংস্থাটি অনলাইন শিক্ষার জন্য ভিভো স্মার্টফোন প্রদান করে ১০০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীকে অনলাইন শিক্ষা পেতে সহায়তা করেছিল। এছাড়াও, কোম্পানিটি ভিভো ফর এডুকেশন উদ্যোগের অংশ হিসেবে ৬৫ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে ৮ লক্ষ টাকা নগদ বৃত্তি প্রদান করেছিল।

আসলে ভারত সরকারের শিক্ষাকে সর্বজনীন স্তরে উপলব্ধ করার উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে Vivo-র এই সাম্প্রতিক কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল, সামাজিক ও আর্থিক বিভেদ দূর করা এবং নিম্ন আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীদের তাদের পড়াশোনাকে অনেক দূর পর্যন্ত চালিয়ে যেতে সহায়তা করা। নিঃসন্দেহে পিছিয়ে পড়া শিশুদের এগিয়ে নিয়ে যেতে এই উদ্যোগ বিশেষভাবে কার্যকর হবে। কারণ যত দিন যাচ্ছে, একের পর এক করোনার ঢেউ এসে দেশকে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অভাবী শিশুদেরকে শিক্ষার সুযোগ থেকে চরমভাবে বঞ্চিত করছে। তাই কোম্পানির তরফ থেকে নেওয়া এই পদক্ষেপ নিশ্চিত করে, যে কোনো দুর্গম পরিস্থিতিতেই দুঃস্থ শিশুদের পড়াশোনা কিন্তু কোনোমতেই থেমে থাকবে না। আর সর্বস্তরের মানুষ সমানভাবে শিক্ষার সুযোগ পেলে তবেই না দেশের উন্নতি হবে! তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য Vivo-র এই পদক্ষেপ এক বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

Show Full Article
Next Story
Share it