গাড়ির জন্য আগ্নেয়গিরি থেকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি Vulcanol তৈরির ভাবনা Koenigsegg এর
জীবাশ্ম জ্বালানির ভান্ডার শেষ হলেও ভবিষ্যতে পরিবহন ব্যবস্থা কীভাবে সচল রাখা যায়, তা নিয়ে এখন থেকেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে...জীবাশ্ম জ্বালানির ভান্ডার শেষ হলেও ভবিষ্যতে পরিবহন ব্যবস্থা কীভাবে সচল রাখা যায়, তা নিয়ে এখন থেকেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গেছে। যখন বিদ্যুৎ শক্তি দ্বারা পরিচালিত গাড়ি তৈরির ভাবনাতে সিংহভাগ অটোমোবাইল ব্র্যান্ড মশগুল। সেইসময় কয়েক ধাপ উপরে উঠে এবার সরাসরি আগ্নেয়গিরি থেকেই গাড়ির ফুয়েল বা জ্বালানি তৈরির পরিকল্পনা করছেন ক্রিশ্চিয়ান ভন কোনিগসেগ (Christian Von Koenigsegg)।
ক্রিশ্চিয়ান ভন কোনিগসেগের পরিচয়? তিনি প্রখ্যাত সুইডিশ হাইপারকার প্রস্তুতকারী সংস্থা কোনিগসেগ অটোমোটিভ (Koenigsegg Automotive)-এর প্রতিষ্ঠাতা। অনলাইন রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্রিশ্চিয়ান তার কোম্পানির আগামী দিনের গাড়ির শক্তির উৎসের জন্য পুননর্বীকরণযোগ্য জ্বালানির সন্ধান করছেন।
কোনিগসেগ অটোমোটিভ হাই-ভোল্টেজ এবং হাই-এনার্জি-ডেনসিটি সম্পন্ন ব্যাটারি প্যাকও ডেভেলপ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে। এছাড়াও সংস্থাটি ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিনকে শক্তি জোগানোর জন্য বিকল্প বায়োফুয়েলের সন্ধান করছে। এমনই এক বিকল্প জ্বালানি 'ভলক্যানল' (Vulcanol) ব্যবহারের ভাবনা কোনিগসেগের প্রতিষ্ঠাতার মাথায় ঘুরছে।
Vulcanol কী আর কীভাবেই বা তৈরি হয়
ভলক্যানল ফুয়েলের শিকড় আইসল্যান্ডে ছড়িয়ে। যেখানে কার্বন রিসাইক্লিং ইন্টারন্যাশনাল (Carbon Recycling International) উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে আংশিক সক্রিয় আগ্নেয়গিরি থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ক্যাপচার করে সেটিকে মিথানলে রূপান্তরিত করে। আর এই মিথানলেরই এক ধরণের ভার্সন হল ভলক্যানল। বলা হচ্ছে, প্রচলিত ফসিল ফুয়েলের তুলনায় ভলক্যানল ৯০ শতাংশ কম কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন করে।
পরিবেশবান্ধব এই ভলক্যানল পারফরম্যান্সের সাথে আপোষ না করেই ভবিষ্যতে কোনিগসেগের গাড়িকে দৌঁড়নোর শক্তি প্রদান করতে চলেছে। এখন দেখার বিষয় হল, ক্রিশ্চিয়ান ভন কোনিগসেগ বাস্তবে ভলক্যানলকে কতটা জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন।