লক্ষাধিক পুরনো গাড়ি বাতিল করার পথে রাজ্য পরিবহণ দফতর, বাঁচাতে বিকল্প পথও রয়েছে
আপনার গাড়ির বয়স কি ১৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে? এইরে তবে তো সর্বনাশ! খুব শীঘ্রই গাড়ি বাতিলের চিঠি হাতে আসতে চলেছে। হ্যাঁ...আপনার গাড়ির বয়স কি ১৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে? এইরে তবে তো সর্বনাশ! খুব শীঘ্রই গাড়ি বাতিলের চিঠি হাতে আসতে চলেছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ দফতর ১৫ বছরের অধিক পুরনো প্রায় ১০ লক্ষ গাড়ি চিহ্নিত করে বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের দাবি ‘ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনাল’-এর নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নোটিশ পাঠানো শুরু করবে রাজ্য পরিবহণ দফতর। গাড়ি বাতিলের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ১৫ বছরের অধিক পুরনো বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত গাড়ি।
রাজ্যের পরিবেশ দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত সরকারের। জানা গেছে, তিন ধাপে এই বাতিলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই জাতীয় বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকদের শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে। মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত চলা শুনানিতে গাড়ির মালিকদের সংশ্লিষ্ট গাড়ি রাস্তায় না চালানোর জন্য অনুরোধ জানাবেন সরকারি আধিকারিকরা।
শুনানি পর্ব শেষ হলেই স্ক্র্যাপ পলিসি ঘোষণা করে গাড়ি ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু করবে পরিবহণ দফতর। এই গাড়িগুলি ভাঙার জন্য কোনো বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে খবর। তবে গাড়ি বাতিল হওয়ার খবর শুনে যারা মনে মনে আক্ষেপ করছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি, বাতিল হওয়ার হাত থেকে অতি সাধের গাড়িকে বাঁচাতে বিকল্প পথ হিসেবে ইলেকট্রিক অথবা কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) কিট লাগানোর পথ খোলা থাকছে।
এই ইলেকট্রিক বা সিএনজি কিট একবার লাগিয়ে নিলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিশ্চিন্ত গাড়িটি ব্যবহার করা যাবে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক। অন্যদিকে বাতিল হওয়া গাড়িগুলি ভেঙে ফেলার কাজ সম্পন্ন হলে গাড়ির মালিকদের যাতে উপযুক্ত স্ক্র্যাপ ভ্যালু মেলে, সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে রাজ্য সরকার।