পরিবারের কেউ মারা গেলে আধার, প্যান, ভোটার ও পাসপোর্টের কী হয়? জানেন না অনেকেই
পরিবারের কেউ প্রিয়জন মারা গেলে তার জরুরি ডকুমেন্টগুলি কী হয়? প্রত্যেক ডকুমেন্টের আলাদা পদ্ধতি রয়েছে। যেমন আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা যায় না। তবে বায়োমেট্রিক লক করা যায়।
পরিবারের কেউ মারা গেলে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিষ্ক্রিয় করার আলাদা পদ্ধতি রয়েছে। তবে আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা না গেলেও তার বায়োমেট্রিক লক করা যায়। এই প্রত্যেকটি ডকুমেন্ট বর্তমান সময়ে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, সেগুলির মালিক যিনি তার মৃত্যুর পর ডকুমেন্টগুলি কী করা হয় তা অনেকেই জানেন না।
আইনি উত্তরাধিকারীরা প্রায়শই এই ডকুমেন্টগুলির সঙ্গে কী করবেন তা নিয়ে অনিশ্চিত থাকেন। সেগুলি রেখে দেবেন নাকি সারেন্ডার বা নষ্ট করতে হবে এই কৌতূহল থাকে। যদিও এই জাতীয় ডকুমেন্টগুলি পরিচালনা করার জন্য কোনও সর্বজনীন নিয়ম নেই। এখানে প্রতিটির জন্য আলাদা পদ্ধতি রয়েছে।
আধার কার্ড
বর্তমানে, কোনও মৃত ব্যক্তির আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় বা বাতিল করার কোনও বিধান নেই। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) রাষ্ট্রীয় মৃত্যু রেজিস্ট্রির সাথে তার সিস্টেমকে একীভূত করেনি এবং মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়।
আইনি উত্তরাধিকারীদের নিশ্চিত করতে হবে যেন মৃত ব্যক্তির আধার অপব্যবহার না হয়। আধারের সাথে যুক্ত বায়োমেট্রিক ডেটা সুরক্ষিত করতে, উত্তরাধিকারীরা UIDAI ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক্স লক করতে পারেন।
প্যান কার্ড
প্যান কার্ড সারেন্ডার করা যাবে। এর জন্য অ্যাসেসিং অফিসারের (AO) কাছে একটি আবেদন লিখতে হবে। যার এখতিয়ারের অধীনে প্যান নিবন্ধিত। এই আবেদনে মৃত ব্যক্তির নাম, প্যান, জন্ম তারিখ এবং মৃত্যু শংসাপত্রের একটি কপি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্যান জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক না হলেও, সমস্ত আর্থিক বিষয়গুলি নিষ্পত্তি হয়ে গেলে এটি করা যেতে পারে।
ভোটার আইডি
ভোটারদের নিবন্ধন বিধি, ১৯৬০ এর অধীনে, একজন মৃত ব্যক্তির ভোটার আইডি বাতিল করা যেতে পারে। এর জন্য স্থানীয় নির্বাচন অফিসে গিয়ে মৃত্যু শংসাপত্রের একটি কপি-সহ নির্বাচনী নিয়মের অধীনে উপলব্ধ ফর্ম ৭ জমা দিতে হবে। প্রক্রিয়াকরণের পর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে।
পাসপোর্ট
মৃত্যু হলে পাসপোর্ট সারেন্ডার বা বাতিল করার প্রয়োজন হয় না। তবে একবার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবৈধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টটি রেখে দিতে পারেন। কারণ এটি যাচাইকরণের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনায় একটি জরুরি ডকুমেন্ট হিসাবে কাজ করতে পারে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান এবং বাতিল করার জন্য প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব প্রবিধান রয়েছে। যদিও মৃত ব্যক্তির লাইসেন্স সমর্পণের জন্য কোনও কেন্দ্রীয় বিধান নেই। উত্তরাধিকারীরা নির্দিষ্ট পদ্ধতির জন্য আঞ্চলিক পরিবহন অফিসের (আরটিও) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
পরিবারের কেউ প্রিয়জন মারা গেলে তার জরুরি ডকুমেন্টগুলি কী হয়? প্রত্যেক ডকুমেন্টের আলাদা পদ্ধতি রয়েছে। যেমন আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা যায় না। তবে বায়োমেট্রিক লক করা যায়।