নতুন প্রাইভেসি পলিসির জের! WhatsApp ছাড়লো ২৬ শতাংশ ভারতীয়, পা বাড়িয়ে আরও ২২ শতাংশ

জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) তার প্রাইভেসি পলিসি আপডেট সংক্রান্ত নোটিফিকেশন প্রকাশ করার পর সারা বিশ্বের ইউজাররা কিরকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন – সে কথা আমাদের কারোরই…

জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) তার প্রাইভেসি পলিসি আপডেট সংক্রান্ত নোটিফিকেশন প্রকাশ করার পর সারা বিশ্বের ইউজাররা কিরকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন – সে কথা আমাদের কারোরই অজানা নয়! পরিস্থিতির চাপে পড়ে ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থাটি তার পরিবর্তিত নীতিমালা চালু করার সময়সীমা পিছিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই বহু ইউজার, হোয়াটসঅ্যাপের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসির কথা জানার পর প্রায় ৫ শতাংশ ভারতীয় ইউজার অ্যাপটিকে ডিলিট করে দিয়েছেন। অন্যদিকে ২১% হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার, টেলিগ্রাম (Telegram) বা সিগন্যাল (Signal) জাতীয় বিকল্প অ্যাপে সুই্যচ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক সার্ভে অনুযায়ী, ২২% ইউজার নতুন নীতিমালা সংক্রান্ত নোটিফিকেশন পাওয়ার পর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে। এমনকি সমীক্ষায় বেশিরভাগ (প্রায় ৯২%) উত্তরদাতারা জানিয়েছেন যে, মে মাসের পর উক্ত নীতিমালা কার্যকরী হলে এবং অ্যাপ্লিকেশনটি ফেসবুক বা তৃতীয় পক্ষের সাথে তথ্য শেয়ার করলে তারা আগামী দিনে WhatsApp Pay ফিচার ব্যবহার করবে না এবং প্রয়োজনে বিজনেস চ্যাটও বন্ধ করতে পারে।

জানিয়ে রাখি, সারা দেশের ১৭,০০০-এরও বেশি ইউজারকে নিয়ে উল্লিখিত সমীক্ষাটি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের ২২% সক্রিয় ইউজার রয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে মেসেজিং মাধ্যমটি পরিষেবার শর্তাদি এবং গোপনীয়তা নীতি সংক্রান্ত পরিবর্তন কার্যকরী হলে অ্যাপটির ঝুলিতে সেরা ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপের খেতাব থাকবে কিনা – তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। যদিও হোয়াটসঅ্যাপ বারবার জানিয়েছে যে তারা কোনোমতেই ইউজারদের ট্র্যাক করেনা বা ইউজারের ডেটা মালিক সংস্থা ফেসবুকের সাথে শেয়ার করে না। কিন্তু তাতেও বিতর্ক বেড়েছে বই কমেনি!

প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপ সবেমাত্র ইউপিআই (UPI) পেমেন্ট ফিচার চালু করতে শুরু করেছে। আগে মনে হচ্ছিল নতুন হোয়াটসঅ্যাপ পে অপশনটি Google Pay, PhonePe বা Paytm-এর মত অন্যান্য অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যমগুলিকে সহজেই টেক্কা দেবে। কিন্তু এই বিতর্কের পর ভারতের ইউপিআই বিভাগে জায়গা করে নিতে হোয়াটসঅ্যাপকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলেই মনে হচ্ছে!

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন