আপনার তথ্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত, এবার স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বার্তা WhatsApp এর

হাজার রকমের বিতর্ক এবং সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে নতুন প্রাইভেসি পলিসি সংক্রান্ত কার্যক্রম পিছিয়ে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। গত পরশু রাতে এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং মাধ্যমটি তার…

হাজার রকমের বিতর্ক এবং সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে নতুন প্রাইভেসি পলিসি সংক্রান্ত কার্যক্রম পিছিয়ে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। গত পরশু রাতে এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং মাধ্যমটি তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে, তাদের পরিবর্তিত নীতিমালাটি আগামী মে মাস থেকে কার্যকরী হবে। এই কয়েক মাসে ইউজারদের হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কিত যাবতীয় আশঙ্কা বা বিভ্রান্তি দূর হয়ে যাবে বলেই মনে করছে ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থাটি। তবে শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেই ক্ষান্ত হয়নি WhatsApp, আজ অ্যাপ্লিকেশনের স্ট্যাটাস সেকশনে ইউজারদের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি।

আজ সকাল থেকেই বহু হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী নিজের স্ট্যাটাস সেকশনে এই বিশেষ স্ট্যাটাস আপডেটটি দেখতে পেয়েছেন। ওই স্ট্যাটাস আপডেটটিতে মোট চারটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রথম পোস্টটিতে বলা হয়েছে যে ‘হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারের গোপনীয়তার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বার্তাটিতে বলা হয়েছে, এটি কোনোভাবেই ইউজারের ব্যক্তিগত কথোপকথন পড়তে বা শুনতে পারেনা এবং ইউজারের লোকেশন ডেটা ট্র্যাক করেনা। সর্বশেষ স্ট্যাটাসে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে এটি কোনোমতেই মালিক সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপের সাথে ডেটা শেয়ার করেনা। অর্থাৎ এতদিন নতুন প্রাইভেসি পলিসি সংক্রান্ত যেসব যুক্তি WhatsApp দিচ্ছে, সেগুলিকেই ফের স্ট্যাটাস আকারে পৌঁছে দিয়ে ইউজারদের ভরসা ফিরে পেতে চাইছে সংস্থাটি।

WhatsApp users privacy shares status, WhatsApp privacy policy

আসলে সাম্প্রতিক সময়ে ইউজাররা যেভাবে দলে দলে হোয়াটসঅ্যাপ বিমুখ হচ্ছেন তা মেসেজিং মাধ্যমটির জন্য বেশ অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ইউজার ইতিমধ্যেই সুই্যচ করেছেন সিগন্যাল (Signal) বা টেলিগ্রাম (Telegram)-এ। আবার যারা এখনও হোয়াটসঅ্যাপের মায়া কাটাতে পারেননি, তাদের মধ্যেও অনেকের মনে প্রশ্ন উঠছে এই প্ল্যাটফর্মে তাদের কথোপকথন বা তথ্য আদৌ সুরক্ষিত থাকবে কিনা। সেক্ষেত্রে, হোয়াটসঅ্যাপ আগে বহুবার বিবৃতি দিয়েছে যে তারা কোনো মতেই ইউজারের ব্যক্তিগত স্বতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করেনা। এমনকি সংস্থাটি, নিজের FAQ পৃষ্ঠাতেও নতুন প্রাইভেসি পলিসি সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ইউজারদের আশঙ্কা দূর করার চেষ্টাও করেছে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ভারত, তুরস্ক সহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আইনি গেরোয় জড়িয়ে পড়েছে এই বহুল ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্মটি।

প্রসঙ্গত, জানুয়ারী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইন-অ্যাপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নিজের নতুন প্রাইভেসি পলিসির কথা সবার সামনে আনে WhatsApp। বলা হয় ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখের মধ্যে এই নীতিমালা না মানলে ইউজারের অ্যাকাউন্টটি ডিলিট হয়ে যেতে পারে। এরপরই সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা শুরু হয়, WhatsApp ইউজারদের ডিকশনারি থেকে ‘ব্যক্তিগত’ শব্দটি বাদ পড়তে চলেছে। নতুন পলিসির মাধ্যমে ইউজারের চ্যাট, কল ডিটেইলস, লোকেশন বা ডিভাইস ডেটা সবই নাকি অ্যাক্সেস করবে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক। সেক্ষেত্রে এই সমস্ত জল্পনা কল্পনা থামানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে, শেষ পর্যন্ত নতুন পলিসি সক্রিয় করার জন্য আরও সময় নিতে বাধ্য হয়েছে এই জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি!