ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে আসছে Yamaha, জানুন কবে আসবে

ফসিল-ফুয়েল অর্থাৎ পেট্রোল ডিজেলের ভান্ডার একদিন শেষ হয়ে যাবে। তবে তার জন্য সভ্যতা থেমে যেতে পারে না বা সভ্যতার অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি, পরিবহনব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে…

ফসিল-ফুয়েল অর্থাৎ পেট্রোল ডিজেলের ভান্ডার একদিন শেষ হয়ে যাবে। তবে তার জন্য সভ্যতা থেমে যেতে পারে না বা সভ্যতার অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি, পরিবহনব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে না। তাই একবিংশ শতকে বহু সংস্থাই চিরাচরিত ফসিল ফুয়েলের পরিবর্তে বৈদ্যুতিক শক্তি দ্বারা পরিচালিত যানবাহনের ডেভলপমেন্ট এবং ম্যানুফ্যাকচারিং এর ওপর জোর দিচ্ছে।

জাপানের টু হুইলার সংস্থা Yamaha -র এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, সংস্থাটি ভারতে ইলেকেট্রিক মোবিলিটির ইকোসিস্টেম পর্যবেক্ষণ করছে এবং আগামী কয়েক বছর সংস্থাটি এই সেগমেন্টে প্রবেশ করতে পারে।

বর্তমানে ভারতের তিনটি শহরে যথা- সুরজপুর, ফরিদাবাদ এবং চেন্নাইয়ে সংস্থার ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি থাকা ইয়ামাহার মতে, কোনো বৈদ্যুতিক পণ্যের সাফল্য সেটির পরিকাঠামো, সেটি কতটা সাশ্রয়ী এবং মানুষের কাছে সেটির গ্রহণযোগ্য কতখানি এই বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করে।

Yamaha Motor India -র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রবীন্দর সিং প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে (PTI) কে জানিয়েছেন, তাইওয়ানের EV (elecrtic vehicle) সেগমেন্টে ইয়ামাহার উপস্থিতি বর্তমান। EV ডেভলপ করার জন্য সেখানকার সংস্থা Gogoro এর সাথে ইয়ামাহার চুক্তি আছে। তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন, সেদেশে ইয়ামাহা গতবছর E5-01 ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করেছিল।

তিনি এও বলেছেন, বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য পরিকাঠামো, চার্জিং স্টেশান, ব্যাটারী প্রোডাকশানে বিনিয়োগ সর্ম্পকিত নানা চ্যালেঞ্জ বর্তমান। ইলেকট্রিক ভেহিকেলের ওপর গর্ভমেন্টের রোডম্যাপ এবং তার সাথে বাজারের প্রয়োজনীয়তাও তারা বোঝার চেষ্টা করছেন। সেই অনুযায়ী আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই হয়তো Yamaha ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চ করতে পারে।