Ashwini Vaishnaw: 12 অক্টোবরের মধ্যে সস্তা 5G পরিষেবা চালু হচ্ছে ভারতে, সুখবর শোনালেন টেলিকম মন্ত্রী

গত মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল 5G স্পেকট্রামের নিলাম। যার কয়েক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পর আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘোষণা করেছেন যে, দুই-তিন বছরের মধ্যেই ভারতের…

গত মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল 5G স্পেকট্রামের নিলাম। যার কয়েক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পর আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘোষণা করেছেন যে, দুই-তিন বছরের মধ্যেই ভারতের বেশিরভাগ অংশে উচ্চ-গতি সম্পন্ন 5G পরিষেবা উপলব্ধ হবে। তবে, দেশের প্রধান সার্কেলগুলিতে এই ‘নেক্সট জেনারেশন’ নেটওয়ার্ক আগামী ১২ই অক্টোবরের মধ্যে উপলব্ধ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পূর্বে, ভারত সরকারের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছিল যে ২৯শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে 5G কানেক্টিভিটি চালু করা হবে। অন্যদিকে ভারতের প্রথমসারির টেলিকম সংস্থা এয়ারটেল (Airtel) আবার চলতি মাসে অর্থাৎ অগাস্টেই ৫তম প্রজন্মের ব্রডব্যান্ড সেলুলার নেটওয়ার্ক আনার বিষয়ে নিশ্চিত করেছিল।

অক্টোবরের মধ্যে ভারতে সস্তা 5G পরিষেবা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিলেন টেলিকম মন্ত্রী

সাম্প্রতিক একটি প্রেস কনফারেন্স চলাকালীন ৫জি নেটওয়ার্কিংয়ের বিষয়ে টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের মোবাইল প্ল্যান অফার করা হয়ে থাকে এবং ৫জি পরিষেবার আগমনের সাথেও এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি, “আমরা শিল্পে প্রায় ২.৫ থেকে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ আশা করছি। যদিও ৩ লক্ষ কোটি টাকা একটি যথেষ্টই বড় বিনিয়োগ। তবে এই বিনিয়োগের ফলে ভাল কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনাও তৈরি হবে। যারপর আমাদের অনুমান, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে দেশের প্রায় সমস্ত অংশে ৫জি পরিষেবার পৌঁছে যাবে,” বলেও তিনি দাবি করেছেন।

এদিকে ৫জি চালু করার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা বাদে নতুন ‘রাইট অফ ওয়ে’ (RoW) নিয়ম সম্পর্কেও কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই নিয়ম মূলত – কেবল স্থাপন, পাবলিক পোলে (খুঁটি) অ্যাক্সেস সহ বিবিধ জিনিসের উপর ধার্য চার্জ স্পষ্ট করে। পাশাপাশি, পরিকাঠামো স্থাপনের জন্য অনুমোদন চাওয়ার ক্ষেত্রে বেসরকারী সংস্থাগুলির কন্ট্রাক্টও নিশ্চিত করে এই নয়া নিয়ম। তদুপরি, এই বিষয়ে মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জনিয়েছেন, “আগে RoW অনুমোদনের জন্য ৩৪৩ দিন সময় লাগতো, যা এখন ২২ দিনে নেমে এসেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী দ্বারা কিছু নীতি সংস্কারের দরুন গত জুলাই মাসে মাত্র ১৬ দিনেই অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল।”

হঠাৎ ‘রাইট অফ ওয়ে’ নিয়মের প্রসঙ্গ উত্থাপনের কারণ, ভারত সরকারের বিশ্বাস যে সংশোধিত RoW প্রাইভেট কোম্পানিগুলির জন্য দেশে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি পরিষেবা দেওয়ার পথকে প্রশস্ত করবে। অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, ভারতে ৫জি নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য টেলিকম সেক্টরে ইতিমধ্যে ৬০,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত ‘ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন’ বা DoT নিলামের পূর্বেই ঘোষণা করেছিল যে, ভারতের মোট ১৩টি বড় শহরে সর্বপ্রথম উচ্চ-গতির ৫জি ইন্টারনেট চালু করা হবে। আলোচ্য শহরগুলি হল – আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, দিল্লি, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, হায়দ্রাবাদ, জামনগর, কলকাতা, লখনউ, মুম্বাই, এবং পুনে।

তবে ভারতের ‘টপ মোস্ট’ টেলিকম সংস্থাগুলির তরফ থেকে এই মুহূর্তেই কোনো স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি। যদিও এয়ারটেল কর্মকর্তারা কিছু সময় পূর্বে বলেছিলেন যে, তারা ৫জি পরিষেবাকে আগস্ট মাসের মধ্যেই চালু করবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এই টাইমলাইন হয়তো পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫জি স্পেকট্রামের শীর্ষ দরদাতা রিলায়েন্স জিও শীঘ্রই পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্কিং সার্ভিস রোলআউটের ইঙ্গিত দিয়েছিল। তবে সম্প্রতি এই বিষয়ে সংস্থাটি আর কোনো তথ্য শেয়ার করেনি। আর ভোডাফোন আইডিয়া ওরফে ভিআই (VI) এখনো 5G নেটওয়ার্কের লভ্যতা নিয়ে কোনো সম্ভাব্য তারিখ নিশ্চিত করেনি।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন