প্রতি রিচার্জে 25 শতাংশ ক্যাশব্যাক, Airtel গ্রাহকদের জন্য চলে এল বিশেষ কার্ড
আপনি কি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানি Airtel কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন পরিষেবা ব্যবহার করার জন্য বছরে বেশ অনেকটা...আপনি কি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানি Airtel কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন পরিষেবা ব্যবহার করার জন্য বছরে বেশ অনেকটা টাকা (প্রায় ১০,০০০ টাকার কাছাকাছি) খরচা করেন? তাহলে আপনার অবশ্যই এয়ারটেল অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ক্রেডিট কার্ড (Airtel Axis Bank Credit Card) সম্পর্কে বিশদে জেনে রাখা উচিত। এখন নিশ্চয়ই আপনাদের মনে প্রশ্ন আসছে যে, কেন আমরা হঠাৎ একথা বলছি? সেক্ষেত্রে বলি, এর পিছনে একাধিক যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। প্রথমত, এই কার্ড ব্যবহার করলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে। তদুপরি, এই কার্ডটিকে কাজে লাগালে এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে বিনামূল্যে অ্যাক্সেস থেকে শুরু করে Zomato, Swiggy সহ আরও অনেক সার্ভিসে বেশ খানিকটা ছাড় পেতে সক্ষম হবেন ইউজাররা।
সবচেয়ে বড়ো কথা হল, কার্ডটি মোটেই ব্যয়বহুল নয়। যদিও কার্ডটি হাতে পেতে হলে ইউজারদেরকে প্রাথমিকভাবে ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে, তবে কার্ডটি ইস্যু করার প্রথম ৩০ দিনের মধ্যে এই কার্ড মারফত লেনদেন করলেই ৫০০ টাকার অ্যামাজন ই-ভাউচার (Amazon eVoucher) পেয়ে যাবেন ব্যবহারকারীরা। অর্থাৎ সহজে বললে, উক্ত কার্ডটি ইউজাররা একেবারেই নিখরচায় পেতে সক্ষম হবেন। আসুন, এয়ারটেল অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিশদে জেনে নেওয়া যাক।
Airtel Axis Bank Credit Card-এর সাহায্যে আপনি কত টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন?
এয়ারটেলের বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে আলোচ্য অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে গ্রাহকরা তাদের ব্যয় করা অর্থের ওপর সর্বোচ্চ ২৫% ক্যাশব্যাক পাবেন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, এই পরিমাণটি বার্ষিক ৩,৬০০ টাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে। অর্থাৎ, বছরে ১৪,৪০০ টাকা খরচ করলে ইউজাররা সর্বাধিক ৩,৬০০ টাকা ফেরত পাবেন। উল্লেখ্য যে, সংস্থাটি কর্তৃক প্রদত্ত নন-টেলিকম সার্ভিস ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এই ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে। তবে সব ক্ষেত্রে যে ২৫% ক্যাশব্যাক হাতে আসবে এমনটা নয়; জোম্যাটো, সুইগি-র মতো অ্যাপ ব্যবহার করলে সেক্ষেত্রে ১০% ক্যাশব্যাক মিলবে।
এছাড়াও, এই কার্ডটিকে কাজে লাগিয়ে সারা দেশের ডোমেস্টিক এয়ারপোর্টগুলির মধ্যে চারটির লাউঞ্জ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে (কমপ্লিমেন্টারি) পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, এক-একটি লাউঞ্জ পরিদর্শন করতে সাধারণভাবে ১,০০০ টাকা খরচ হয়। অর্থাৎ সহজে বললে, এই কার্ড মারফত ৪,০০০ টাকা সাশ্রয় করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, প্রতিটি ত্রৈমাসিকে কেবলমাত্র একটি করে লাউঞ্জ ভিজিট করার সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।
Airtel Axis Bank Credit Card পেতে হলে কী করতে হবে?
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ইস্যু করার পর প্রথম বছর কেটে গেলে দ্বিতীয় বছর থেকে গ্রাহকদেরকে এই কার্ডের জন্য বার্ষিক চার্জ হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে। তবে ইউজাররা যদি এক বছরে উক্ত কার্ডটির মারফত ২,০০,০০০ টাকার বেশি ব্যয় করেন, তবে এই চার্জটি মুকুব করা হবে। এখন নিশ্চয়ই আপনাদের মনে প্রশ্ন আসছে যে, চাইলেই কি যে কেউ এই কার্ড পেতে পারে? সেক্ষেত্রে বলি, যেহেতু এটি একটি ক্রেডিট কার্ড, তাই কার্ডটি পেতে হলে একজন ব্যবহারকারীকে অবশ্যই যোগ্যতার কিছু প্রাথমিক মানদন্ড পূরণ করতে হবে। এর জন্য আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং ভারতে অফিসিয়াল রেসিডেন্সি থাকতে হবে। সেইসাথে ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত যাবতীয় অফিসিয়াল কাগজপত্র প্রস্তুত থাকাও একান্ত আবশ্যক।