১৯৯ টাকার রিচার্জ প্ল্যানে এত কিছু, Airtel-র কাছে কুপোকাত Jio
গ্রাহক টানার জন্য ভারতের বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিগুলির মধ্যে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলতেই থাকে। সেক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে...গ্রাহক টানার জন্য ভারতের বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিগুলির মধ্যে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলতেই থাকে। সেক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে এই লড়াইয়ের অন্যতম দুই প্রতিযোগী হল দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই টেলিকম অপারেটর Reliance Jio এবং Airtel। উভয় সংস্থার পোর্টফোলিওতেই বিভিন্ন রেঞ্জের নানাবিধ প্রিপেইড, পোস্টপেইড এবং ব্রডব্যান্ড প্ল্যান মজুত রয়েছে। তবে সেরার নিরিখে কে এগিয়ে রয়েছে, তা জনসমক্ষে স্পষ্টভাবে তুলে ধরার জন্য দুটি কোম্পানির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিন-কে-দিন জোরদার হয়ে উঠছে। যদিও আমরা সকলেই জানি যে, দেশের অন্যান্য বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিগুলির তুলনায় Jio ইউজারদেরকে খানিকটা সস্তায় একাধিক রিচার্জ প্ল্যান অফার করে থাকে, তবে আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদেরকে উভয় সংস্থার পোর্টফোলিওর অন্তর্গত এমন একটি সাশ্রয়ী মূল্যের রিচার্জ প্ল্যানের কথা জানাতে চলেছি, যেটিতে ব্যবহারকারীদেরকে Jio-র তুলনায় খানিকটা বেশি সুবিধা দিচ্ছে Airtel!
আজ্ঞে হ্যাঁ, শুনে কিঞ্চিৎ অবাক লাগলেও কথাটা কিন্তু ১০০% সত্যি। আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, উভয় সংস্থার ঝুলিতেই ১৯৯ টাকা দামের একটি প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যান মজুত রয়েছে। এক্ষেত্রে প্ল্যান দুটির দাম একই হলেও এতে উপলব্ধ সুবিধাগুলি কিছুটা আলাদা, যার নিরিখে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করলে দেখা যায় যে, জিও-র তুলনায় কিঞ্চিৎ এগিয়ে রয়েছে এয়ারটেল। কিন্তু সেটা কীভাবে? আসুন একটু খোলসা করে জেনে নিই।
Jio-র ১৯৯ টাকার প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যান
রিলায়েন্স জিও-র ১৯৯ টাকার প্ল্যানের মেয়াদ ২৩ দিন। এই প্ল্যান মারফত ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন ১.৫ জিবি ডেটা, রোজ ১০০ টি এসএমএস এবং আনলিমিটেড ভয়েস কলিংয়ের সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ, এই প্ল্যানটি রিচার্জ করলে মোট ৩৪.৫ জিবি ডেটা খরচের সুযোগ পাবেন ইউজাররা। তবে এফইউপি (FUP অর্থাৎ ফেয়ার ইউসেজ পলিসি) ডেটা লিমিট শেষ হয়ে গেলে ইন্টারনেট স্পিড কমে ৬৪ কেবিপিএসে নেমে আসবে। এছাড়া, এক্সট্রা বেনিফিট হিসেবে এই প্ল্যানে JioTV, JioCinema, JioSecurity এবং JioCloud-এর মতো Jio অ্যাপগুলির কমপ্লিমেন্টারি সাবস্ক্রিপশন পাওয়া যাবে।
Airtel-এর ১৯৯ টাকার প্রিপেইড প্ল্যান
ভারতী এয়ারটেলের ১৯৯ টাকার প্ল্যানে ৩০ দিনের মেয়াদে মোট ৩ জিবি ডেটা পাওয়া যায়। সেইসাথে যে-কোনো নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এবং মোট ৩০০ টি এসএমএস প্রেরণের সুবিধাও উপলব্ধ রয়েছে। তবে নির্ধারিত ডেটা লিমিট শেষ হয়ে গেলে প্রতি এমবি ডেটা খরচের জন্য ইউজারদেরকে ৫০ পয়সা করে চার্জ দিতে হবে। আবার, এই প্ল্যানের অতিরিক্ত বেনিফিটগুলির মধ্যে রয়েছে ফ্রি Hello Tunes, এবং Wynk Music-এর ফ্রি সাবস্ক্রিপশন।
Airtel-এর ১৯৯ টাকার প্ল্যানটি কেন তুলনামূলকভাবে ভালো?
এখন প্রশ্ন হল, Jio-র তুলনায় Airtel-এর প্ল্যানটি ঠিক কোন দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে? সেক্ষেত্রে বলি, যে সকল ব্যবহারকারীরা একটু বেশি ভ্যালিডিটিসম্পন্ন বাজেট রেঞ্জের রিচার্জ প্ল্যানের সন্ধান করছেন, তাদের জন্য Airtel-এর প্ল্যানটি এককথায় আদর্শ; কারণ Jio-র তুলনায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানির ১৯৯ টাকার প্ল্যানটির মেয়াদ খানিকটা বেশি। ফলে যারা খুব বেশি নেট ব্যবহার করেন না, কেবলমাত্র ন্যূনতম ডেটা খরচ এবং নিকট আত্মীয়-পরিজনদেরকে ফোন করার জন্য মোবাইল রিচার্জ করেন, তারা অবশ্যই Airtel-এর প্ল্যানটি ব্যবহার করার কথা ভাবতে পারেন। তবে যারা অধিক পরিমাণে ডেটা ব্যবহারে আগ্রহী, তাদের এটি রিচার্জ করা মোটেই উচিত হবে না। সেক্ষেত্রে এবার আপনার নিজস্ব প্রয়োজন বুঝে আপনি এই প্ল্যান দুটির মধ্যে কোনটিকে সেরা হিসেবে বিবেচিত করবেন, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে আপনার।