Bharat 6G Vision: মোদীর হাত ধরে ভারতে ৬জি নেটওয়ার্ক পরীক্ষার শুভ সূচনা হচ্ছে আজ
আজ অর্থাৎ ২২শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতে একটি নতুন 'ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন' বা আইটিইউ (ITU)...আজ অর্থাৎ ২২শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতে একটি নতুন 'ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন' বা আইটিইউ (ITU) এরিয়া অফিস উদ্বোধন করবেন। একই সাথে, 'ভারত 6G ভিশন ডকুমেন্ট' (Bharat 6G Vision Document) এবং 6G নিয়ে গবেষণার স্থান (6G R&D Test Bed) -ও আজকেই উন্মোচন করতে চলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহাশয়। ANI এর রিপোর্ট অনুসারে, নতুন ITU ইন্ডিয়া অফিসটি - বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ইরান এবং আফগানিস্তানের মতো দেশগুলিতে পরিষেবা প্রদান করবে। আপনাদের অবগতের জন্য জানিয়ে রাখি, ITU হল জাতিসংঘ পরিচালিত 'তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি' বা 'ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি' (ICTs) সংস্থার একটি অংশ, যার সদর দপ্তর জেনেভায় (Geneva) অবস্থিত।
ভারত 6G ভিশন ডকুমেন্ট আসলে কি
প্রথমেই আলোচনা করা যাক ভারত ৬জি ভিশন ডকুমেন্ট সম্পর্কে। এটি হল ৬জি নেটওয়ার্কিং বিষয়ক একটি গবেষণা পত্র বা সার্কুলার, যা ২০২১ সালের নভেম্বরে গঠিত হওয়া 'টেকনোলজি ইনোভেশন গ্ৰুপ' বা TIG-6G দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে TIG-6G গ্রুপের সঙ্গে - বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও ডিপার্টমেন্ট, একাডেমিয়া, এবং 'রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট' (R&D) প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে জড়িত ব্যক্তিরা সংযুক্ত আছেন। আর গ্ৰুপটির প্রত্যেক সদস্য মিলেই, ভারতে ৬জি পরিষেবা বিস্তার ও বন্টনের জন্য একটি রোডম্যাপ এবং অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছেন।
আর আগে যেমনটা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৬জি গবেষণার পরীক্ষা স্থান (6G R&D Test Bed) -ও আজকেই উন্মোচন করবেন। এই জায়গাটি - শিল্প, স্টার্ট আপ, একাডেমিক প্রতিষ্ঠান এবং MSMEs (মাইক্রো, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রক) সহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে 'তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি' বা ICT সংক্রান্ত পরীক্ষা ও যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটি যথাযথ প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে।
এক কথায় বললে, ভারত ৬জি ভিশন ডকুমেন্ট এবং ৬জি গবেষণা ও উন্নয়নেথ জন্য পরীক্ষা স্থান ঘোষণা করার এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে খুবই লাভজনক প্রমাণিত হবে। পাশাপাশি ভারত বর্তমানে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে উৎসাহী এবং দ্রুততার সাথে নয়া প্রযুক্তিকে গ্রহণ করার প্রতি আগ্রহী, তা প্রমান করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আজকের ইভেন্টটি৷
প্রসঙ্গত, ২০২৮ বা ২০২৯ সালের মধ্যেই এদেশে ৬জি নেটওয়ার্ক আনুষ্ঠানিকভাবে রোলআউট করা হবে বলে কিছু দিন পূর্বেই আশ্বাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তবে বর্তমানে, দেশীয় টেলিকম অপারেটররা ৫জি পরিষেবাকে ভারতব্যাপী ছড়িয়ে দিতে অধিক মনোনিবেশ করতে চাইছে। এক্ষেত্রে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel) আগামী ১ থেকে ১.৫ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে 5G পরিষেবা উপলব্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। মুকেশ আম্বানির সংস্থাটি দাবি করেছে যে, তারা ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি কোণায় 5G নেটওয়ার্কের সুবিধা পৌঁছে দেবে। অন্যদিকে এয়ারটেলের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যেই ৫জি প্রসারণের কাজ শেষ করে দেওয়া হবে।
'প্যান ইন্ডিয়া' ভিত্তিক ৫তম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক উপলব্ধ করার কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, টেলিকম সংস্থাগুলিকে "ভারতে ৬জি পরিষেবা আনার কাজে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন" করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যেই - ভারত ৬জি ভিশন ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।