প্রিপেড প্ল্যানে বড়সড় বদল আনল BSNL, ১ নভেম্বর থেকে চালু নতুন নিয়ম
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর Bharat Sanchar Nigam Limited বা BSNL সম্প্রতি তাদের সমস্ত প্রিপেইড প্ল্যানে একটি...রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর Bharat Sanchar Nigam Limited বা BSNL সম্প্রতি তাদের সমস্ত প্রিপেইড প্ল্যানে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করার কথা ঘোষণা করেছে। আসলে এতদিন সংস্থার বেশিরভাগ প্ল্যানে এফইউপি (FUP অর্থাৎ ফেয়ার-ইউসেজ পলিসি) ডেটা লিমিট শেষ হয়ে গেলে নেট স্পিড বেশ অনেকটাই কমে যায়। তবে এতদিন পর্যন্ত নানাবিধ প্ল্যানের ক্ষেত্রে এই স্পিড হ্রাসের পরিমাণটি বিভিন্ন ছিল। কিন্তু হালফিলে সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, এবার থেকে BSNL কর্তৃক প্রদত্ত সকল প্রিপেইড প্ল্যানগুলিতে উপলব্ধ FUP ডেটা লিমিট শেষ হয়ে গেলে ইউজাররা একটি অভিন্ন গতির নেট স্পিড পাবেন। অর্থাৎ, যে-কোনো প্রিপেইড প্ল্যানই ব্যবহার করা হোক না কেন, সেগুলিতে বরাদ্দ FUP ডেটা লিমিট শেষ হয়ে গেলে প্রতিটিতেই সমান ন্যূনতম গতির নেট স্পিড পাওয়া যাবে। কিন্তু সেটির সাংখ্যিক মান কত? আসুন জেনে নিই।
FUP ডেটা ব্যবহারের পরে অভিন্ন নেট স্পিড প্রদান করবে BSNL
২০২২ সালের ১ নভেম্বর থেকে বিএসএনএল তাদের সমস্ত প্রিপেইড প্ল্যানে একটি বড়ো পরিবর্তন এনেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে যে-কোনো প্রিপেইড প্ল্যানের এফইউপি ডেটা লিমিট শেষ হয়ে গেলে ইন্টারনেট স্পিড কমে ৪০ কেবিপিএস হয়ে যাবে। অর্থাৎ, বিএসএনএলের সবকটি প্রিপেইড প্ল্যান ব্যবহারের ক্ষেত্রেই এফইউপি ডেটা লিমিট শেষ হয়ে গেলে ব্যবহারকারীরা ৪০ কেবিপিএস স্পিডে নেট ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন। ফলে এখন কোন প্ল্যান ব্যবহারের ক্ষেত্রে নেট স্পিড কমে কত হবে, তা আর আলাদা করে ইউজারদের মনে রাখার প্রয়োজন পড়বে না।
খুব শীঘ্রই এদেশে 4G সার্ভিস নিয়ে আসছে BSNL
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, গত মাসের শুরুতে দেশে ৫জি (5G) নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে। রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel) ইতিমধ্যেই দেশের নির্বাচিত কিছু শহরের বাসিন্দাদের সম্পূর্ণ নিখরচায় এই দুরন্ত গতির নেট পরিষেবা ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে এই প্রাইভেট টেলিকম কোম্পানিগুলি যেখানে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক পরিষেবা উপলব্ধ করেছে, সেখানে এখনও পর্যন্ত ৪জি (4G) নেটওয়ার্কই চালু করে উঠতে পারেনি বিএসএনএল। ফলে ইউজারদের মনেও সংস্থাটিকে নিয়ে ক্ষোভ-অভিযোগ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। তবে খুব শীঘ্রই সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিটি তার গ্রাহকদেরকে আশার আলো দেখাতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে সংস্থাটি সম্প্রতি তার ৪জি পরিষেবার উপলভ্যতা সম্পর্কে একটি টুইট করেছে, যা দেখে অনুমান করা হচ্ছে যে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কোম্পানিটি সারা দেশে তার ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করতে পারে।
হালফিলে কোম্পানির অফিসিয়াল টুইটার (Twitter) অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়েছে যে, 4G লঞ্চের সঠিক তারিখ বলা এই মুহূর্তে কিছুটা কঠিন। তবে সম্প্রতি 4G লাইসেন্স রিভাইভাল প্যাকেজ পেয়েছে BSNL, এবং সারা দেশে 4G সার্ভিস রোলআউট করার জন্য সংস্থাটি ইতিমধ্যেই দেশীয় সংস্থার সাথে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। তাই ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে সংস্থার 4G ইনস্টলেশন শুরু হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমনকি সম্প্রতি টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) জানিয়েছেন যে, BSNL ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে ভারতে 4G সার্ভিস নিয়ে আসবে। সেক্ষেত্রে এবার বাস্তবিকভাবে BSNL-এর 4G-র স্বাদ পাওয়ার জন্য আপামর ভারতবাসীকে আর কতটা সময় অপেক্ষা করতে হবে, এখন সেটাই দেখার…