ফিরছে BSNL, Jio, Airtel এর থেকেও ঋণ কমিয়ে আনল
ধীরে ধীরে আবার একবার টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির মূলস্রোতে ফিরে আসছে বিএসএনএল। একথা বলার কারণ, ২০২৪ অর্থবছরে বেসরকারি টেলিকম...ধীরে ধীরে আবার একবার টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির মূলস্রোতে ফিরে আসছে বিএসএনএল। একথা বলার কারণ, ২০২৪ অর্থবছরে বেসরকারি টেলিকম অপারেটরগুলির থেকেও বিএসএনএলের ঋণ অনেকটাই কম ছিল। একই সময়ে সংস্থাটি গত কয়েক বছরে আয় বাড়াতে পেরেছে, পাশাপাশি নিট লোকসানও কমে এসেছে অনেকটাই।
বিএসএনএল যদিও এখনও ৪জি লঞ্চ করতে পারেনি, তবুও বেসরকারি টেলিকম অপারেটরদের তুলনায় তাদের ব্যালেন্স শিটে এখন ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে কম। রাজ্যসভায় লিখিত ভাবে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী প্রেম মাসানি চন্দ্র শেখর বলেছেন যে, বিএসএনএলের ঋণ ২০২২ এবং ২০২৩ অর্থবছরে ছিল যথাক্রমে ৪০,৪০০ কোটি টাকা এবং ২৮,০৯২ কোটি টাকা। সেখানে ২০২৪ অর্থবছরে ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২৩,২৯৭ কোটি টাকায়।
সেই তুলনায় অন্যান্য টেলিকম অপারেটরের ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। যথা, চলতি অর্থবর্ষে ভারতী এয়ারটেলের ঋণের পরিমাণ ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা, ভোডাফোন আইডিয়ার ঋণের পরিমাণ ২.০৭ লক্ষ কোটি টাকা এবং জিও ইনফোকমের ঋণের পরিমাণ ৫২,৭৪০ কোটি টাকা।
যদিও, ২০২০ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত বিএসএনএল সরকারের কাছ থেকে মোট ৩টি রিভাইভাল প্যাকেজ পেয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে বিএসএনএল পেয়েছে ৬৯,০০০ কোটি টাকা, ২০২২ সালে পেয়েছে ১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকা এবং ২০২৩ সালে পেয়েছে ৮৯,০০০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সরকার এই রাষ্ট্র চালিত টেলকোকে রিভাইভাল প্যাকেজের অংশ হিসেবে ৪জি এবং ৫জি স্পেক্ট্রামও বরাদ্দ করেছে।
এছাড়াও, বিএসএনএলকে সরকার ল্যান্ড পার্সেল এবং বিল্ডিংগুলি নগদিকরণ করে অর্থ সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছে। ভারত সরকার আশা করছে যে, বিএসএনএল ২০২৭ অর্থবছরের মধ্যে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছাবে এবং লাভজনক সংস্থায় পরিণত হবে। কারণ, ২০১৯ সালে যেখানে বিএসএনএলের নেট লোকসান ছিল ১৫,৫০০ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৪ অর্থবছরে এই নেট লোকসান কমে ৫,৩৭১ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। একই সময়ে সংস্থার ইবিআইটিডিএ প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সংস্থাটি আশা করছে আগামী দিনে তাদের ৪জি এবং ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হলে তাদের লোকসান আরো কমে আসবে।