6G: গোটা দুনিয়ায় সবচেয়ে হাইস্পিড ইন্টারনেট সার্ভিস দিতে চায় ভারত, ঘোষিত হল বিশেষ জোট
বহু অপেক্ষার পর ভারতে 5G নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে আজ ৯ মাস হল। বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটরগুলির দৌলতে...বহু অপেক্ষার পর ভারতে 5G নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে আজ ৯ মাস হল। বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটরগুলির দৌলতে বেশিরভাগ মানুষই বিনামূল্যে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারছেন। এদিকে এরই মধ্যে ভারত ভবিষ্যৎ 6G প্রযুক্তির জন্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। বলে রাখি, 5G লঞ্চের আগে থেকেই অত্যাধুনিক 6G নেটওয়ার্ক নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে এবার আর কোনো অনুমান বা জল্পনা নয়, বরঞ্চ কেন্দ্র সরকার নিজেই এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে। গতকাল মানে সোমবার, কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রাজধানী দিল্লিতে 'India 6G Alliance'-এর ঘোষণা করেছেন। এই সরকারি জোটের আওতায় টেলিকম খাতের সকল স্টেকহোল্ডার এক ছাদের নিচে এসে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে এবং ২০২৯ সালের মধ্যে এটি কার্যকরী করার চেষ্টা করবে।
6G প্রযুক্তির হাত ধরে গোটা বিশ্বকে পেছনে ফেলতে চায় ভারত
অশ্বিনী বৈষ্ণব 'ইন্ডিয়া ৬জি অ্যালায়েন্স' প্রসঙ্গে বলেছেন যে, ভারত, ৫জি লঞ্চ করে বিশ্ববাজারে অনেকটা এগিয়ে গেছে। কিন্তু এখানেই থেমে থাকলে চলবেনা, তাই সরকার ৬জি প্রযুক্তি ডেভেলপের ক্ষেত্রে অন্যান্যদের পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষে থাকার লক্ষ্য নিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেছেন যে, ভারত এখন টেলিকম প্রযুক্তির রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে এবং ইতিমধ্যেই এদেশের কাছে ৬জি প্রযুক্তি সম্পর্কিত প্রায় ২০০টি পেটেন্ট রয়েছে৷ তবে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের ৬জি পেটেন্টের এই অংশের পরিমাণ ১০ শতাংশে নিয়ে যেতে চায়।
India 6G Alliance ও কিছু কথা
ভারতের সাম্প্রতিক ৬জি অ্যাপ্লায়েন্স আদতে একটি শিল্প-নেতৃত্বাধীন সংস্থা হিসেবে কাজ করবে, যেখানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি যুক্ত হতে পারবে। পাশাপাশি এতে শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও যুক্ত থাকবেন। এক্ষেত্রে এই সংস্থার মূল কাজ হবে আসন্ন ৬জির ব্যবহার সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলি অধ্যয়ন করা, ৬জি কানেক্টেড ইকুইপমেন্ট তৈরি এবং সেগুলি বাজারে আনা ইত্যাদি।
6G-র সুবিধা
প্রযুক্তিগত সুবিধার কথা বললে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের ষষ্ঠতম প্রজন্ম বা ৬জি সবচেয়ে দ্রুততম (প্রায় ১,০০০ জিবিপিএস) ইন্টারনেট পরিষেবা দেবে। এর মাধ্যমে ৫জির চেয়ে ১০ গুণ বেশি ডিভাইস একসাথে সংযুক্ত করা যাবে, তাছাড়া এতে যেকোনো জিনিস চোখের পলকে ডাউনলোড হবে। অন্যদিকে, রোবোটিক সার্জারি, অনলাইন চিকিৎসার মতো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রয়োজনে ৬জি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে স্মার্ট ক্লাস বা দূরশিক্ষার ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়া এর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বের জোরদার হবে বলে আশা করা যায়।
শিগগিরই সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্ল্যান্টের শিলান্যাস করা হবে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে গুজরাটে ভারতের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বা শিলান্যাস করা হবে বলে জানিয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর মতে, একবার এই প্ল্যান্ট তৈরি হলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেখানে সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদন শুরু হবে।